চতুর্থ দফার ভোট শেষ হতে না হতেই হিংসার আবহ তৈরি হল রাজ্য জুড়ে। বর্ধমান থেকে বীরভূম হিংসা চলছে বিচ্ছিন্ন ভাবে।
চতুর্থ দফার ভোট শেষ হতে না হতেই হিংসার আবহ তৈরি হল রাজ্য জুড়ে। বর্ধমান থেকে বীরভূম হিংসা চলছে বিচ্ছিন্ন ভাবে।
বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের মল্লারপুরের ১৯ নম্বর বুথের বিজেপি এজেন্ট সেন্টু বাউড়ি ও তাঁর দাদা কার্তিক বাউড়ি। অভিযোগ মঙ্গলবার সকালে সেন্টু বাড়ি থেকে বের হতেই তাঁর ওপর চড়াও হয় এলাকার তৃণমূল নেতা বিকাশ বাউড়ি। ধারালো অস্ত্র দিয়ে সে কোপ মারে সেন্টুকে, এমনটাই অভি্যোগ বিকাশের বিরুদ্ধে। ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন সেন্টুর দাদা কার্তিক বাউড়িও। দু'জনকে প্রথমে মল্লারপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেন্টুকে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। এদিকে ঘটনার পরই উত্তেজিত জনতা চড়াও হয় বিকাশের বাড়িতে। ভাঙচুর করা হয় বাড়ির একাংশ। বিধায়ক অভিজিত রায়ের দাবি তিনি ফোন করেন মল্লারপুর থানার পুলিশকে। ঘটনাস্থকে যায় পুলিশ। বিকাশকে জনরোষের হাত থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।
অন্য দিকে, বর্ধমানেও ভোট মিটতেই গভীর রাতে তৃণমূল কর্মীদের বাঁশ লাঠি ও ইঁট দিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠলো বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি কালনার নাদনঘাট নৌ পাড়া গ্রামের। আহত তিন তৃণমূলকর্মীকে কালনা সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে ভর্তি করা হয়।
এই ঘটনার সাথে বিজেপি জড়িত নয়,আহতদের চাপ দিয়ে ভুল বলানো হচ্ছে। এমনটাই পালটা দাবি বিজেপি নেতার।
রাজ্যে ক্রমবর্ধমান নৈরাজ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন কমিশন। পঞ্চম দফার ভোট শুরুর আগে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্টও তলব করা হয়েছে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে রাজ্যে পঞ্চম দফায় আরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সেনা নিয়োগ করা হবে।