দুধের অপচয় রুখতে লকডাউনে মিষ্টির দোকানকে ছাড় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতেই কি ঘটল বিপত্তি? পয়লা বৈশাখে দই খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন শিশু-সহ একই পরিবারের ছয়জন। সকলেই ভর্তি হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার পুরশুড়ি গ্রামে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের বাজারে পুরুলিয়ায় উদ্ধার বন্য জন্তুর শাবক, চিতা বাঘের বাচ্চা বলে দাবিলকডাউনের জেরে বন্ধ মিষ্টির দোকান। স্রেফ খদ্দেরের অভাবেই নষ্ট হচ্ছিল দুধ। বিপুল অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন এ রাজ্যের দুধ চাষিরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হন তাঁরা। শেষপর্যন্ত লকডাউনের মাঝেই অল্প সময়ের জন্য মিষ্টির দোকান খোলার অনুমতি মেলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সকাল ১২ টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বেচা-কেনা করতে পারেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। তাহলে আর দুধ নষ্ট হবে না। তবে যাঁরা মিষ্টি কিনতে যাবেন, তাঁদের সামাজিক দূরত্ব মেনে দোকানের বাইরে লাইন দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাড়িতে বসেই মিলবে চিকিৎসা, লকডাউনে সরকারি হাসপাতালে চালু নয়া পরিষেবাজানা গিয়েছে, মঙ্গলবার, পয়লা বৈশাখের দিন চন্দ্রকোনায় পুরশুড়ি গ্রামের একটি মিষ্টির দোকান থেকে দই কিনেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু সেই দই খাওয়ার পরই একে একে অসুস্থ হয়ে পড়েন একই পরিবারের ছ'জন সদস্য। শুরু হয় পেটের সমস্যা। বমি করতে থাকেন তাঁরা। বুধবার সকালে তাঁদের ভর্তি করা হয় ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে। গ্রামে আরও বেশ কয়েকজনের চিকিৎসা চলছে। ঘটনার খবর পেয়ে পুরশুড়ি গ্রামে যান চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও ও স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা। বিডিও অভিষেক মিশ্র বলেন, যে মিষ্টির দোকান থেকে দই কেনা হয়েছিল, সেই দোকানটি লকডাউনের কারণে বেশ কয়েকদিন বন্ধ ছিল। দই সম্ভবত আগে থেকে তৈরি করে রাখা ছিল। সেকারণেই ঘটেছে বিপত্তি। মিষ্টির দোকানের মালিককে আটক করেছে পুলিশ।