সংক্ষিপ্ত

পুরুলিয়ার জঙ্গল সংলগ্ন রাস্তায় বন্য প্রাণির শাবক
বন্য প্রাণির শাকব উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দা
চিতা বাঘ না নেকড়ে কার শাবক
তাই নিয়ে জোর চর্চা পুরুলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় 
ছোট্ট এই শাবকটি কার? এটি চিতা বাঘের না কোনও নেকড়ের শাবক। সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন পুরুলিয়ার বাসিন্দাদের কাছে। যদিও বনদফতর বলছে প্রাথমিকভাবে তাঁরা মনে করছেন একটি একটি নেকড়ের শাবক। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা তা মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি তাঁরা নেকড়ের শাবক দেখেছেন। এটির সঙ্গে সেগুলির কোনও মিল নেই। এটি একটি চিতা বাঘের শাবক। যদিও বনদফতরের কর্মীরা জানিয়েছে আরও পরীক্ষার পরই জানা যাবে শাবকটি কার। তবে বর্তমানে বন্য প্রাণির শাবকটি পুরুলিয়া বনদফতরের হেফাজতে রয়েছে। 

পুরুলিয়ার আড়শা গ্রামের বাসিন্দা দুলাল মাহাতই প্রথম শাবকটিকে দেখতে পান। তাঁর কথায় তিনি আড়শা থেকে বেগুনকোদোর যাচ্ছিলেন। জঙ্গল সংলগ্ন চিটিডি গ্রামের কাছেই প্রথম শাবকটিকে দেখতে পান। তাঁর কথায় শাবকটি রাস্তার ধারে পড়েছিল। সেখানেই চিৎকার করছিল। রাস্তার ধার থেকে শাবকটিকে উদ্ধার করে তিনি প্রথমে আড়শা থানায় নিয়ে যান। তবে থানায় কর্তৃব্যরত পুলিশ কর্মীরা শাবকটি জমা নিতে অস্বীকার করে। তাঁকে নিজের কাছে রাখারই পরামর্শ দেয়।  অগত্যা বন্য প্রাণির শাবক নিয়ে ছুটেন এক চিকিৎসকের কাছে। আর তাঁরই পরামর্শে বেগুনকোদোরে এসে কোটশিলা বনদফতরে খবর দেওয়া হয়। সিএডিসির হাত ধরে  শাবক যায় বনদফতরের কর্মীদের হাতে। 

কোটশিলা বনদফতের বিট অফিসার মধু সোরেনের দাবি এটি একটি নেকড়ের শাবক। যদিও তাঁর দাবি এখনও মানতে নারাজ স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা অরূপ কুমার গোস্বামীর দাবি, বন্য় প্রাণির এই শাবকটি যেন যত্ন করে রাখা হয়। চিতা না নেকড়ের শাবক তা নিতে বতর্ক বাড়াতে তিনি মোটেও রাজি নন।