দীর্ঘ ১১ বছর পর জেল জীবন কাটিয়ে জামিনে মুক্তি পেয়ে নিজের বাড়িতে ঢুকলেন ছত্রধর মাহাতো। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বাইক মিছিলের অভ্যর্থনার সঙ্গে স্করপিওতে করে ঢুকলেন আমলিয়া গ্রামে। তাকে ঘিরে শুরু হল সেলফি তোলার হিড়িক। ছত্রধরের আগমনকে ঘিরে শুরু হল ভুরিভোজ।
সারোগেসির নামে প্রতারণা, ৬ লক্ষ টাকা খোয়ালেন দম্পতি.
রবিবার সকালে কলকাতা থেকে স্করপিওতে করে লালগড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন ছত্রধর মাহাতো। স্ত্রী নিয়তি মাহাতো সহ ছেলে, লালগড় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শ্যামল মাহাতো সহ ছিলেন আরও কয়েকজন। বেলা ১১ টা নাগাদ তার লালগড়ে পৌঁছনোর কথা ছিল। অভ্যর্থনা ভিড়ে আটকে বাড়ি পৌঁছালেন সন্ধ্যা নাগাদ।
বউবাজার বাঁচাতে সতর্ক মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ, নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি
ছত্রধর আসছে শুনে লালগড়ে খানিকটা ভিড় শুরু হয়েছিল। জঙ্গলমহলের স্বেচ্ছা উদ্যোগী একদল মানুষ সহ তৃণমূলের যুব কর্মীরা লোধাশুলি থেকেই বাইক মিছিল করে অভ্যর্থনা জানিয়ে ছত্রধরকে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হয়। ঝাড়গ্রামে প্রবেশ করতেই রীতিমতো তাবু খাটিয়ে অপেক্ষারত তৃণমূল ও স্থানীয় লোকজনের অভ্যর্থনা শুরু হয়ে যায়। ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়ে " ছত্রধর মাহাতো স্বাগতম" স্লোগান ওঠে ঘনঘন। সেখান থেকে বেরিয়ে ফের লালগড়ের উদ্দেশ্য রওনা হতে দফায় দফায় রাস্তায় থামতে হয়েছে তাকে বিভিন্ন মানুষের সংবর্ধনা গ্রহণ করার জন্য।
শহিদ মিনারে অমিত শাহের সভার অনুমতি দিল না পুলিশ, আদলতের দ্বারস্থ বিজেপি
শেষমেশ লালগড়ে প্রবেশ করে খানিকটা হেঁটে তিনি বাড়িতে পৌঁছন। তবে লালগড় ঢোকার আগেই বিশাল বাইক মিছিল এর ভিড় বেড়ে যায়। যেখানে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সঙ্গে ছিলেন। অনেক হইহুল্লোর টপকে সন্ধ্যে নাগাদ নিজের মাটির বাড়ি আমলিয়াতে প্রবেশ করেন ছত্রধর মাহাতো।তখনও তাকে ঘিরে ছবি তোলার ভিড় ছিল সংবাদমাধ্যমের। পরে তরুণ-তরুণীদের ভিড় জমে যায় ছত্রধরকে ঘিরে সেলফি তোলার জন্য। দীর্ঘ ১১ বছর পর মোবাইলের আধুনিক সেলফি প্রেমে খানিকটা ইতস্তত বোধ করছিলেন ছত্রধর।
এদিন ছত্রধর বলেন, " আমার কেমন যেন মনে হচ্ছে সেই ২০০৯ এর আবেগে ভাসছি এখনও। জঙ্গলমহলের মানুষ আগের মতই আমাকে গ্রহণ করলে খুশি হব। তাদের প্রয়োজনে ফের ঝাঁপিয়ে পড়ব।আমি যে স্বপ্ন নিয়ে আন্দোলন করেছিলাম দিদি তার বেশিরভাগটাই করে ফেলেছেন। পাল্টে দিয়েছেন লালগড়কে। আমার পুরনো যে সহকর্মীরা আজকে তৃণমূলের নেতা কর্মী হয়েছেন তাদের বলব সৎভাবে কাজ করতে। তবে তৃণমূলে সরাসরি নেমে আমি কাজ করব কিনা সেটা পরিস্থিতির ওপর ঠিক হবে।"