সঞ্জীব কুমার দুবে, পূর্ব মেদিনীপুর-করোনা আবহের মধ্যে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে গেল পূর্ব মেদিনীপুরে। একজন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্য়ু নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল রাজ্য স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে। জানাগেছে, বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন আইসিডিএসের সুপারভাইজার। তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। তাঁর শ্বাসকষ্ট থাকায় তিনি করোনা আক্রান্ত বলে সন্দেহ হয় পরিবারের। কিন্তু, চিকিৎসকদের জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়। ঘটনায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ তুলছে পরিবার।
আরও পড়ুন-করোনা আবহে তালা ঝুলল কারখানায়, রোজগারের চিন্তায় ৯০ জন শ্রমিক
জানাগেছে, আইসিডিএসের সুপারভাইজার হিসেবে নন্দকুমার খেজুরবেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন বছর চুয়ান্নর উমা সামন্ত। তমলুক পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। পরিবারের দাবি, কয়েক দিন তাঁর মাঝে মাঝে জ্বর হচ্ছিল। সোমবার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বাড়লে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকাকালীন ভোর ৫টা নাগাদ মৃত্যু হয় উমাদেবীর।
আরও পড়ুন-তৃণমূলে পা বাড়াচ্ছেন শোভন,তড়িঘড়ি কলকাতার সাংগঠনিক দায়িত্বের প্রস্তাব বিজেপির
পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর থেকেই র্যাপিড টেস্ট করতে অনুরোধ করা হয় চিকিৎসকদের। কিন্তু করোনা সংক্রান্ত কোনও ধরনের টেস্ট করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের আরও দাবি, করোনা আবহের মধ্য়ে নিজের কর্তব্যে অবিচল ছিলেন উমাদেবী। মহামারির আতঙ্ক থাকলেও কাজ থেকে কোনও দিন ছুটি নিতেন না তিনি। একজন স্বাস্থ্যকর্মী বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-বেপরোয়া গতির বলি বাবা ও ছেলে, মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল গুসকরায়
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডল বলেন, স্বাস্থ্যকর্মী উমা সামন্তের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তবে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা ঠিক নয়। অন্য কারনে মৃত্যু হয়েছে উমা সামন্তর। মন্তব্য জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের।
আরও পড়ুন-বাড়িতে ঢুকে পড়ল কিং কোবরা, বরাতজোরে রক্ষা পেলেন গৃহস্থ