সংক্ষিপ্ত
- করোনা আবহে আচমকা কারখানা বন্ধের নোটিস
- হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের ঘটনায় দিশেহারা শ্রমিকরা
- রোজগার কোথা থেকে আসবে? তা নিয়ে চিন্তায়
- কর্মহীনের আশঙ্কা করছেন ৯০ জন শ্রমিক
সঞ্জীব কুমার দুবে, পূর্ব মেদিনীপুর- করোনা আবহের মধ্য়ে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে বড়সড় দুর্যোগের মুখে পড়লেন একটি কারখানার প্রায় ৯০ জন শ্রমিক। সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে কারখানার গেটের সামনে বন্ধের নোটিস দেখতে পান শ্রমিকরা। কী কারণে বন্ধ হল কারখানা? এতজন শ্রমিকদের রুটি রোজগারই বা কীভাবে চলবে? তা নিয়ে সমস্যায় পড়েন শ্রমিকরা। জেভিএল অ্য়াগ্রো ইন্ড্রিস্ট্রিজ লিমিটেড নামে ওই কোম্পানির দীর্ঘ দিনের পুরনো বলে জানিয়েছেন কর্মীরা।
আরও পড়ুন-ইঁদূরের কারসাজি, অগুন আর ধোঁয়াতে ত্রাহি ত্রাহি রব জেলা শাসকের দফতরে
২০১২ সালে কারখানাটির উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তারপর থেকে ভোজ্য তেলের ওই কারখানাটি রমরমিয়ে চলছিল। এতদিন কোনও সমস্য়াই ছিল না বলে দাবি করেছেন শ্রমিকরা। কিন্তু এদিন সকালে আচমকাই কারখানা বন্ধের নোটিস দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েন কর্মীরা।
আরও পড়ুন-এবার জংলী শুকরের মাংসে 'ভুরিভোজ', ডুয়ার্সের জঙ্গলে বিপন্ন বন্যপ্রাণ
এই কোম্পানিটি দীর্ঘ দিনের হওয়ায় কেউ দশ বছর, কেউ ২০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন ওই কারখানায়। কারখানা বন্ধের নোটিসে জানানো হয়, ''আধিকারিক ও কর্মীদের সঙ্গে সংস্থার কোনও সম্পর্ক থাকবে না, কারও কাছে সংস্থার কোনও সামগ্রী থাকলে তা অবিলম্বে ফিরিয়ে দিতে হবে''। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আদালতের নির্দেশ মতই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন-বিপদ নন-দলে মুকুল সম্পদ,দেরিতে হলেও বুঝছেন দিলীপ
সূত্রের খবর, মালিকপক্ষ বিপুল পরিমাণ ঝণ নিয়ে যথা সময়ে ফেরত দেয়নি। তার জেরে ২০১৮ সালে সংস্থাটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর সংস্থার দায়িত্ব নেয় ঝণ দাতা সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক। শেষ পর্যন্ত ১৯ অগাস্ট কারখানার সম্পত্তি বিক্রির জন্য তৃতীয় পক্ষকে নিয়োগ করে আদালত। সেই সম্পত্তি বিক্রি থেকেই পাওনাদারদের টাকা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেকারণে এদিন কারখানা বন্ধের নোটিস দেয় কর্তৃপক্ষ।