বেড়ার ঘরে মোমবাতি জ্বালিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। হাতির হামলায় অগ্নিদগ্ধ হলেন একই পরিবারের তিনজন। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুরের নয়াগ্রামে।
তখন গভীর রাত। মেদিনীপুর ব্লকের নয়াগ্রামে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে হাতির দল। বেড়ার ঘরে মেয়ে ও জামাইকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন কচি ধর নামে এক ব্যক্তি। ঘরের ভিতরে একটি ল্যাম্প জ্বালিয়ে রেখেছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, বাড়ির চৌহদ্দিতে যে হাতি চলে এসেছে, তা বুঝতে পেরেছিলেন কচি। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার, তা হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, হাতির পায়ে চাপে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ঘরের বেড়ার দেওয়াল। আর সেই দেওয়াল সোজা গিয়ে পড়ে জ্বলন্ত ল্যাম্পে উপর। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। চোখের নিমেষে ঘরের ভিতরে আগুন লেগে যায়। অগ্নিদগ্ধ হন মেয়ে ও জামাই। আগুন হাত থেকে রেহাই পাননি কচি নিজেও। তাঁদের চিৎকার বাড়ির সামনে জড়ো হন প্রতিবেশীরা। অগ্নিদগ্ধদের উদ্ধার করার কোনও উপায় ছিল না। কারণ, কচি ধরের বাড়িতে সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছিল কুড়িটি হাতি! এভাবেই কেটে যায় বেশ কিছুক্ষণ। শেষপর্যন্ত বাড়ি ও লাগোয়া চাষের জমিতে তাণ্ডব চালিয়ে জঙ্গলের দিকে চলে যায় হাতির দল। এরপর কচি ধর, তাঁর মেয়ে ও জামাইকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করে গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: জমি থেকে বেগুন তুলতে গিয়ে খুন কৃষক, ক্ষেতে মিলল গলাকাটা দেহ
এদিকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বারবার লোকালয়ে হাতি ঢুকে পড়ায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। বনদপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, হাতির হানায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু ক্ষতিপূরণ দিতে গড়িমসি করছে বনদপ্তর। হাতিদের আটকাতেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।