একটি পূর্ণবয়স্ক হনুমানকে কামড়ে দিয়েছে পাড়ার কয়েকটি কুকুর। আর এই ঘটনায় পশ্চিম মেদিনীপুরে চন্দ্রকোনায় ব্য়াপক উত্তেজনা ছড়াল। সূত্রের খবর, রক্তাক্ত হনুমানটি ক্ষেপে এলাকায় দৌড়ে বেড়াচ্ছে। গ্রামবাসীরা বনদপ্তর খবর দিলে বাগে আনতে পারেনি হনুমানটিকে।রক্তাক্ত ক্ষিপ্ত হনুমানকে দেখে গ্রামবাসীদের স্বাভাবিক বাইরে বেরোনো বন্ধ। এমনকি স্কুলেও পাঠানো যাচ্ছে না ছোট ছেলেমেয়েদের।
আরও পড়ুন, করোনা ভাইরাসের থাবা তেহট্টে, গুজবে ছড়াল আতঙ্ক
সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরে চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের বন্দিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটপাড়া গ্রামের ঘটনা। বৃহস্পতিবার সকালে হনুমানটি কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে বিভিন্ন গাছে ও গ্রামবাসীদের বাড়ির উঠোনে ইতিউতি ঘুরে বেড়াচ্ছে। সব সময় রক্তক্ষরণ হচ্ছে কমবেশি।বনদপ্তর কে খবর দেওয়া হলে বৃহস্পতিবার তেমন কোনো জোগাড় যন্ত্র ছাড়াই হনুমানটিকে ধরতে গিয়ে ব্যর্থ হয়। এরপর শুক্রবার সকাল থেকে পুনরায় হনুমান ধরার কাজে নেমে পড়ে চন্দ্রকোনা ধামকুড়িয়া বিট হাউসের বনকর্মীরা ।
আরও পড়ুন, 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ কাদের শেখাব', ঋষভের মৃত্যুতে চোখে জল সাংসদেরও
গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় কলার সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কাবু করার চেষ্টা করে। দু-একবার জাল ফেলে তাকে আটকানোর চেষ্টাও হয়। কিন্তু জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছে প্রতিবারই। ঘুমপাড়ানি ওষুধে কোন কাজ হয়নি। ফলে বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয়েছে বনদপ্তর কে।গ্রামবাসীরা কোন দপ্তরের এই ভূমিকায় ব্যর্থতা বলেই দাবি করেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, 'গ্রামবাসীরা হনুমানের শরীর নিয়ে যতটা চিন্তিত, ততখানি তার আক্রমণের ভয়ে আতঙ্কিত রয়েছে। অবিলম্বে হনুমান ধরা না পড়লে গ্রামবাসী ও হনুমান দুইয়েরই ক্ষতি।'
আরও পড়ুন, ৮ দিনের লড়াই থেমে গেল চিরতরে, ফের পুলকারের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে গেল ঋষভের মৃত্যু