সংক্ষিপ্ত

  • এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত!
  • মালাবদলের পর ধরা পড়ল করোনা
  • বিচ্ছেদ হয়ে গেল নবদম্পতির
  • ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ায়

সন্দীপ মজুমদার, হাওড়া: বিয়ের অনুষ্ঠানেও এবার বাদ সাধল করোনাভাইরাস! মালাবদলের পরেই বিচ্ছেদ হয়ে গেল নবদম্পতির। পাত্র ভর্তি হলেন হাসপাতালে। আর পাত্রী? হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হল তাঁকেও। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ায়।

আরও পড়ুন: বিয়ে পাকা করে ফেরার পথে দুর্ঘটনা, বাইক থেকে ছিটকে পড়ে প্রাণ হারালেন পাত্রের মা

পাত্রের নাম সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ি, হাওড়ার কোনা মল্লিকপাড়া এলাকায়। দাসনগর থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার পদে কর্মরত তিনি। গত ২ জুন বিয়ে করেন সুপ্রিয়। পাত্রী, হুগলির মশাটের বাসিন্দা পিয়ালী পণ্ডিত। নির্বিঘ্নেই মিটে যায় যাবতীয় অনুষ্ঠান। বিয়ের পরের দিন যথারীতি সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে নিয়ে নিজের বাড়িতে ফেরেন সুপ্রিয়। যখন বৌভাতের অনুষ্ঠানের তোড়জোড় চলছে জোরকদমে, তখনই ঘটে বিপত্তি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন,  গত ২৯ মে হাওড়ার দাসনগর থানার অন্য পুলিশকর্মীদের সঙ্গে লালরস বা সোয়াব পরীক্ষা হয় সুপ্রিয়েরও। করোনা পজিটিভি রিপোর্ট আসে ৩ জুন, অর্থাৎ বিয়ের ঠিক পরের দিন। সেদিন রাতেই সদ্য বিবাহিত তরুণকে ভর্তি করা হয় ফুলেশ্বরের সঞ্জীবন হাসপাতালে। স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশে মেনে কোয়ারেন্টাইন জীবন শুরু হয় স্ত্রী পিয়ালীর। এ যেন ঠিক বিনা মেঘে বজ্রপাত! মুষড়ে পড়েন আত্মীয়-পরিজনেরাও।

আরও পড়ুন: চিকিৎসক বাবার দেহ আগলে মেয়ে, রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি হাওড়ায়

জানা গিয়েছে, শনিবার দ্বিতীয়বার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট। দিন দুয়েক পর্যবেক্ষণে রেখে মঙ্গলবার সুপ্রিয়কে করোনামুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়। শুধু তাই নয়, হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় পিয়ালীকেও। মাস্ক ও ফেসগার্ড পরিয়ে ফের দু'জনের 'বিয়ে' দেন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। রীতিমাফিক দেওয়া হয় উপহারও। নবদম্পতির পুনর্মিলন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শ্রমিক দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী নির্মল মাজি, সঞ্জীবন হাসপাতালে ডিরেক্টর শুভাশিস মিত্র-সহ আরও অনেকেই।