ঘাসফুলে এখন মিলছে লাল, পদ্মফুলের চাপে কেশপুর ফের লাল জামানায়

Sahajahan Ali |  
Published : Jan 07, 2020, 08:18 PM IST
ঘাসফুলে এখন মিলছে লাল, পদ্মফুলের চাপে কেশপুর ফের লাল জামানায়

সংক্ষিপ্ত

পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ফের লালপতাকায় মোড়া  দীর্ঘ দশক পরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চলেছে বাম রাজনীতি  বিজেপির উত্থান হতেই তৃণমূল সেই সুযোগ করে দিয়েছে বলে দাবি  বিজেপি বিরোধী হিসেবে সিপিএমকে তৃণমূলই নাকি অক্সিজেন যোগাতে শুরু করেছে ৷

২০১১ সাল থেকেই বামেরা হেরে যেতেই পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর থেকে সিপিএমের সক্রিয় কর্মীদের বাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছিল,নয়তো মোটা জরিমানা দিয়ে নিজেদের রক্ষা করতে হয়েছিল ৷ ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত কেউই কোনও বাম দলীয় কার্যালয় খোলার সাহস পায়নি৷ তালাবন্ধ পার্টি অফিসগুলির বেশিরভাগই ছিল তৃণমূলের দখলে ৷ কিন্তু বিজেপির উত্থান রাজ্যে বাড়তেই সেই পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে ৷ বামেদের দাবি - বিজেপির উত্থান হতেই তৃণমূলের স্বৈরতন্ত্র নমনীয় হতে থাকে ৷ যারা দলীয় কার্যালয় খুলতে দিতো না, তারা এখন বাধা দেওয়া বন্ধ করেছে ৷ বর্তমানে পরিস্থিতি আরও নমনীয় ৷ সিপিএমের কেশপুরের একজন নেতার দাবি - সিপিএমের মিছিল বের করতে এখন তৃণমূলের ভয় করতে হয় না ৷ তৃণমূলের স্থানীয় কর্মীরাই পরোক্ষে বিজেপি বিরোধী কর্মসুচী নিতে উৎসাহিত করে ৷       

গত কয়েকমাস ধরে কেশপুর বাজারে লালপতাকায় মোড়া  হয়ে গিয়েছে ৷ সিপিএমের মিছিল করলে যেখানে একশো লোক হতো না কেশপুরে, সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি আইন বিরোধী মিছিলে কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিলেন ৷ প্রকাশ্যে এই বিষয় অস্বীকার করেছেন বাম ও তৃণমূলের নেতারা ৷  তবে বিজেপির জেলা সভাপতি সমিত দাস বলেন- সিপিএমের সঙ্গে গোপন আঁতাত হয়েছে শাসকদলের ৷ তারাই বিজেপির মোকাবিলা করতে না পেরে সিপিএমকে অক্সিজেন যোগাচ্ছে কেশপুরে ৷ তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি সরাসরি স্বীকার না করলেও তিনি বলেন- গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমরা চাই সব দলই থাকুক,যে যার মতো করে রাজনীতি করুক ৷ আমরা কাউকে বাধা দিতে যাইনি কখনই ৷ 

PREV
click me!

Recommended Stories

লোকসভায় দাঁড়িয়ে কমিশনের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের, দেখুন কী বলছেন
শেখ শাহজাহানকে অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার আর্জি শুভেন্দুর, দেখুন কী বলছেন