২০১১ সাল থেকেই বামেরা হেরে যেতেই পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর থেকে সিপিএমের সক্রিয় কর্মীদের বাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছিল,নয়তো মোটা জরিমানা দিয়ে নিজেদের রক্ষা করতে হয়েছিল ৷ ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত কেউই কোনও বাম দলীয় কার্যালয় খোলার সাহস পায়নি৷ তালাবন্ধ পার্টি অফিসগুলির বেশিরভাগই ছিল তৃণমূলের দখলে ৷ কিন্তু বিজেপির উত্থান রাজ্যে বাড়তেই সেই পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে ৷ বামেদের দাবি - বিজেপির উত্থান হতেই তৃণমূলের স্বৈরতন্ত্র নমনীয় হতে থাকে ৷ যারা দলীয় কার্যালয় খুলতে দিতো না, তারা এখন বাধা দেওয়া বন্ধ করেছে ৷ বর্তমানে পরিস্থিতি আরও নমনীয় ৷ সিপিএমের কেশপুরের একজন নেতার দাবি - সিপিএমের মিছিল বের করতে এখন তৃণমূলের ভয় করতে হয় না ৷ তৃণমূলের স্থানীয় কর্মীরাই পরোক্ষে বিজেপি বিরোধী কর্মসুচী নিতে উৎসাহিত করে ৷
গত কয়েকমাস ধরে কেশপুর বাজারে লালপতাকায় মোড়া হয়ে গিয়েছে ৷ সিপিএমের মিছিল করলে যেখানে একশো লোক হতো না কেশপুরে, সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি আইন বিরোধী মিছিলে কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিলেন ৷ প্রকাশ্যে এই বিষয় অস্বীকার করেছেন বাম ও তৃণমূলের নেতারা ৷ তবে বিজেপির জেলা সভাপতি সমিত দাস বলেন- সিপিএমের সঙ্গে গোপন আঁতাত হয়েছে শাসকদলের ৷ তারাই বিজেপির মোকাবিলা করতে না পেরে সিপিএমকে অক্সিজেন যোগাচ্ছে কেশপুরে ৷ তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি সরাসরি স্বীকার না করলেও তিনি বলেন- গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমরা চাই সব দলই থাকুক,যে যার মতো করে রাজনীতি করুক ৷ আমরা কাউকে বাধা দিতে যাইনি কখনই ৷