কেশপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল যেন সারতেই চাইছে না। বিজেপিকে দমন করতে ও গোষ্ঠীকোন্দল মেরামতের জন্য বহুদিন পর ব্লক সভাপতিকে পরিবর্তন করা হয়েছিল। তারপরই বিদায়ী ব্লক সভাপতি অনুগামীদের চাষের জমিতে জল দেওয়া বয়কট করল সদ্য নিযুক্ত তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অনুগামীরা। জেলা নেতৃত্ব সমাধান না করে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ তৃণমূলের লোকজনই। তারা দ্বারস্থ হয়েছেন বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির ৷
নিখোঁজ হার্ট স্পেশালিস্ট ফিরলেন 'স্বামীজি'র বেশে, যার কাহিনি জানলে অবাক হতে হয়
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর থানার অন্তর্গত বিকলচক এলাকায়। ওই এলাকার স্থানীয় একদল কৃষকের ১২ বিঘা চাষযোগ্য জমিতে এবার সেচের জল দেওয়া হবেনা বলে স্থানীয় সাবমারসিবল এর মালিক জানিয়ে দিয়েছেন। যার ফলে বীজতলা তৈরি করেও হন্যে হয়ে ইতিউতি ঘুরছেন ওই জমির মালিকেরা। তাদের দাবি-" আমরা তৃণমূলের কর্মী হলেও তৃণমূলের অপর পক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে এই বয়কট করেছে।"
স্কুল ফাইনালে এবার মাদ্রাসায় বসতে চলেছে ৭০ হাজার হিন্দু পড়ুয়া
সমস্যাটি শুরু হয়েছে গত এক মাস ধরেই। গত এক মাস আগে কেশপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে সঞ্জয় পানকে সরিয়ে নতুন করে শিউলি সাহা ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মী উত্তম দে-কে ব্লক সভাপতি করেছে জেলা তৃণমূলের নেতারা। দীর্ঘদিন ধরে শিউলি সাহা বনাম সঞ্জয় পান-এর গোষ্ঠীকোন্দল চলছিল কেশপুরে। যার জেরে ক্রমেই বিজেপির হাত শক্ত হয়ে যাচ্ছিল কেশপুরে। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ভালোই ভোট কাটছে বলে শাসক দল তৃণমূল বুঝে গিয়েছিল। তাই জেলার দায়িত্ব পেতেই সুব্রত বক্সীর নির্দেশে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ব্লক সভাপতি পদ থেকে সঞ্জয় পানকে সরিয়ে দিয়েছিল। এতে গোষ্ঠী কোন্দলটা আরও বেড়ে যায়।
করোনা মোকাবিলায় সতর্ক কলকাতা চিড়িয়াখানা, কড়া নজরদারি বিদেশিদের উপরে
জানা গিয়েছে, প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পান অনুগামী বিকলচক এলাকার বাসিন্দা একদল তৃণমূল কর্মীদের চাষের জমিতে জল দেওয়া হবে না বলে স্থানীয় সাবমারসিবল মালিক জানিয়ে দেয়। বীজতলা তৈরির পর হঠাৎ করে এই ফরমান শুনে কারণ জানতে গেলে ওই সাবমারসিবল এর মালিক জানায়, অঞ্চল সভাপতি ইজাহার আলির নির্দেশ রয়েছে এই জল বন্ধ করার জন্য। এই ইজাহার আলি সদ্যনির্বাচিত সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠীর ঘনিষ্ঠ অনুগামী। ওই চাষীদের বলে দেওয়া হয় ওপরতলার নির্দেশ রয়েছে তোমাদের জল দেওয়া হবে না।
বিষয়টা তৃণমূলের উলটো পক্ষের বয়কট বুঝতে পেরে যায় ওই কৃষকেরা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির দ্বারস্থ হয় ওই কৃষকেরা সকলেই।অজিত মাইতি তাদের জানিয়ে দেন ব্লক-এ নির্দেশ দিয়ে দিচ্ছি বিষয়টা নিয়ে সমাধান করা হবে। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। ফলে সেচ না পেয়ে পতিত পড়ে রয়েছে ওই জমি গুলি।চাষীদের অভিযোগ, আমরা তৃণমূলেরই কর্মী ৷ উল্টো গোষ্ঠী ক্ষমতা পেয়েছে বলে আমাদের জব্দ করতে বয়কট করা হয়েছে ৷ আমরা জেলা নেতাদের বললেও কোনও কাজ হয়নি ৷ তাই বিডিও ও পঞ্চায়েত অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছি ৷
ব্লক সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন," এরকম কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই, দেখব।" তবে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন," কি হয়েছে ভালো করে বিষয়টা দেখে জানাব।" তবে জেলা নেতারা বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে দেখে বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন কৃষকেরা ৷