বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের উদ্যোগ, অলচিকিতে লেখা হল পঞ্চায়েত সমিতির নাম

  • অলচিকি হরফে জ্বলজ্বল করছে পিংবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম
  •  সারা দেশের কোথাও এ ঘটনা ঘটেছে কিনা তা স্মরণ করা দুষ্কর
  • অভিনব  কাজটি করে দেখিয়েছে গড়বেতার পিংবনি গ্রাম পঞ্চায়েত
  • বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্তেই এই কাজ করা হয়েছে 

Asianet News Bangla | Published : Feb 10, 2020 5:16 PM IST / Updated: Feb 20 2020, 12:18 AM IST

অলচিকি হরফে জ্বলজ্বল করছে পিংবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম। পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই সারা দেশের কোথাও এ ঘটনা ঘটেছে কিনা তা স্মরণ করতে পারছেন না কেউই। অভিনব এই কাজটিই করে দেখিয়েছেন গড়বেতা দুই নম্বর ব্লক তথা গোয়ালতোড়ের বিজেপি পরিচালিত দুই নম্বর পিংবনি গ্রাম পঞ্চায়েত। এলাকার আদিবাসীদের সম্মান জানাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত প্রধান বিশ্বজিৎ মাহাতো।

তাপস সহ তিন মৃত্যুর জন্য দায়ী কেন্দ্র, বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

জঙ্গলমহল এলাকার এই ব্লকে দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত আছে। তার মধ্যে একমাত্র পিংবনি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ইংরেজির পাশাপাশি অলচিকি হরফেও নাম লেখা হয়েছে। একসময় এইসব এলাকাতেই আদিবাসীদের প্রতি বঞ্চনাকে সামনে রেখে মাওবাদী আন্দোলন শুরু হয়েছিল। গোয়ালতোড়ের বিস্তীর্ণ এলাকার দখল নিয়ে নিয়েছিল মাওবাদীরা। আজ সেসব অতীত। পালাবদলের পর আদিবাসীদের উন্নয়নে ঝাঁপিয়েছে সকলেই। 

কী গল্প কলকাতাকে শোনাল রোবট কন্যা সোফিয়া, দেখুন সেরা ১২ ছবি

অলচিকি হরফে সাঁওতালি ভাষায় পঠন পাঠনে স্বীকৃতি দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারও। এবার এগিয়ে এল বিজেপি পরিচালিত পিংবনি গ্রাম পঞ্চায়েতও। যার পরামর্শে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিশ্বজিৎবাবু এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেই বিজেপি নেতা তথা স্থানীয় বাসিন্দা পশুপতি দেবসিংহ বলেছেন, পিংবনি এলাকায় ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষই আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত। তাই তাদের ভাবাবেগকে মর্যাদা দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

মার্চেই হয়তো দোতালা বাস ফিরবে কলকাতায়, এবার খোলা ছাদে শহর দেখবে যাত্রীরা

তবে গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে অলচিকি হরফে নাম লেখাকে সাধুবাদ জানালেও অলচিকি হরফ তথা সাঁওতালি ভাষার আরও প্রসার চান এলাকার বাসিন্দারা। তাদের দাবি কেবলমাত্র দেওয়ালে নাম লেখা নয়, সরকারি সমস্ত কাজ ও চিঠি চাপাটিতেও সাঁওতালি ভাষাকে প্রাধান্য দিতে হবে। যাতে মাতৃভাষার মাধ্যমে আদিবাসী এলাকার মানুষজন সহজেই নিজেদের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

Share this article
click me!