লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে 'বাঘ', পায়ের ছাপ দেখে ভয়ে কাঁটা গ্রামবাসীরা

  • এলাকায় বন্যজন্তুর পায়ের ছাপ
  • ফের বাঘের আতঙ্ক ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরে
  • ভয়ে কাঁটা শালবনির বাসিন্দারা
  • তদন্তে নেমেছে বনদপ্তর
     

Asianet News Bangla | Published : Jun 15, 2020 11:40 AM IST / Updated: Jun 15 2020, 05:11 PM IST

শাহাজাহান আলি, মেদিনীপুর:  লোকালয় লাগোয়া জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে বাঘ! পায়ের ছাপ দেখে ভয়ে কাঁটা স্থানীয় বাসিন্দারা। ফের আতঙ্ক ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরে। এবার ঘটনাস্থল শালবনি। তদন্তে নেমেছে বনদপ্তর।

আরও পড়ুন: করোনা সংকটের মধ্যেই মুম্বইয়ে শুরু লোকাল ট্রেন পরিষেবা, এই রাজ্যে কবে থেকে শুরু হবে

শালবনি তিলাবনি গ্রামে থাকেন খগেন মাহাতো। রবিবার বিকেলে দোকানে যাওয়ার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। গ্রামবাসীদের দাবি, জঙ্গল লাগোয়া রাস্তা দিয়ে যখন যাচ্ছিলেন, তখন প্রথমে বিশাল বপু একটি প্রাণী লেজ দেখতে পান খগেন। ভালো করে দেখা চেষ্টার করতেই প্রাণীটি নাকি ঝোপ থেকে বেরিয়ে ফাঁকা রাস্তা দিয়ে ঢুকে যায় গভীর জঙ্গলে। এরপর খগেনের চিৎকার শুনে ছুটে আসেন গ্রামের লোকেরা, কিন্তু ততক্ষণে প্রাণীটি পালিয়েছে। ওই প্রাণীটি যে বাঘ, তা বুঝলেন কী করে? খগেন মাহাতোর জবাব, 'শিয়াল, নেকড়ে সবই দেখেছি। এই প্রাণীটি তেমন নয়। আমি নিশ্চিত, ওটা বাঘই।' স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি, এলাকায় প্রাণীটির পায়ের ছবি দেখা গিয়েছে। সেটিও নাকি অবিকল বাঘের মতোই! ছড়িয়েছে আতঙ্ক। 

এদিকে আবার খবর দেওয়া সত্ত্বেও বনদপ্তর বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জিত দাসের দাবি, 'প্রায়শই গ্রামে হাতি চলে আসে। খবর পেলে চলে আসেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। কিন্তু বাঘের খবর পেয়েও গুরত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমরা নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি।' বনদপ্তরের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসীরা। স্থানীয় পিড়াকাটা রেঞ্জের রেঞ্জার পাপান মহান্তের অবশ্য দাবি, জঙ্গলে অনেক প্রাণীকে দেখে বাঘ বলে মনে হয়। এর আগে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল।  পরে দেখা দিয়েছে, সেটি বাঘ নয়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।

আরও পড়ুন: 'কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো' চাইলে আসছে 'গীতা', অনলাইন ডেলিভারিতেও কি লাগল গেরুয়া রঙ

উল্লেখ্য, বছর দুয়েক আগে শালবনির জঙ্গল লাগোয়া লক্ষ্মণপুর এলাকায় একই রকম পায়ে ছাপ দেখতে পেয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। সেবারও প্রথমে বিষয়টি প্রথমে গুরুত্ব দিতে চাননি বনদপ্তরের আধিকারিকরা। শেষপর্যন্ত ট্যাপ ক্যামেরায় বাঘে উপস্থিতির প্রমাণ মেলে। তবে ধরা যায়নি, ঘটনার মাস দুয়েক পর শিকারে বেড়িয়ে বাঘটি মেরে ফেলেন আদিবাসীরা। 

Share this article
click me!