অন্য দিন যে মাঠে দাঁড়িয়ে পড়া না পারা কিংবা দুষ্টুমি করা ছাত্রছাত্রীদের শাস্তি ভোগ করতে হয় শুক্রবার সেই মাঠে দাঁড়িয়ে দেড় ঘন্টা শাস্তি ভোগ করতে হলো প্রধান শিক্ষিকা সহ চার শিক্ষক-শিক্ষিকাকে।দেরি করে আসার অপরাধে গ্রামবাসীরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাঠে দাঁড় করিয়ে রাখলেন ঘণ্টাভর। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এদিন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই শাস্তি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে ছাত্র-ছাত্রীরাও।
ঋতুস্রাবের পাঠ-ক্যারাটে প্রশিক্ষণ, মিমির হাত ধরে এবার যাদবপুরে সুকন্যা
স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ," বিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে সামাল দেওয়ার জন্য দুই শিক্ষক ও দুই শিক্ষিকা রয়েছেন। কিন্তু প্রতিদিনই শিক্ষক-শিক্ষিকারা দেরি করে বিদ্যালয়ে হাজির হন। শিক্ষকদের আসতে দেরি হলে ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে হাজির হয়ে ছোটাছুটি, দুষ্টুমি করতে থাকে। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাভাবিক পঠন-পাঠন যেমন পিছিয়ে যায়, তেমনি খুদে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও থাকে।"
নবীন পট্টনায়েকের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে মুখোমুখি অমিত-মমতা, অধরাই থাকল এনআরসি-এনপিআর
ছাত্র ছাত্রীদের এক অভিভাবক বিমল দোলোই বলেন," আমরা এ বিষয়ে আগেও শিক্ষকদের অবগত করেছিলাম। কিন্তু খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। তাই আজকে আমরা সবাই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিদ্যালয়-এর বাইরে আটকে রেখেছিলাম।" প্রায় দেড় ঘণ্টার বেশি ধরে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিদ্যালয়ের বাইরে আটকে রেখে গ্রামবাসীরা ক্ষোভ উগড়ে দেন।
মোবাইলের টর্চ জ্বেলে পুরুলিয়ার গ্রামে ঢুকলেন বাবুল সুপ্রিয়, গ্রামের লোক বললেন 'রাজনীতি'
পরে অবশ্য দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চেয়ার দেওয়া হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কয়েকজন শেষপর্যন্ত স্কুল না করে বাড়ি চলে যাবার কথা বললে তাও যেতে দেওয়া হয়নি।পরে ঘটনার খবর পেয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন ভারপ্রাপ্ত বিদ্যালয় পরিদর্শক সৌমেন দে। পুরো বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অভিভাবকেরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ছেড়ে দেন। তবে এ বিষয়ে আর পরে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি প্রধান শিক্ষিকা বা অন্যান্য শিক্ষক ৷