মঙ্গলবার সকালে নিজের বাড়ির উঠোনে গলার নলিকাটা অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল এক ব্যাক্তি ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থানার রামজীবনপুরে ঘটনাটি ঘটেছিল৷ পুলিশ তদন্তে নেমে গ্রেফতার করলো স্ত্রী ও তার প্রেমিককে ৷ বুধবার ঘাটাল আদালতে তোলা হলে তাদের ৫ দিনের জেল হেপাজতে পাঠানো হয় ৷ পুরনো প্রমিককে নিয়ে জীবন কাটাতে স্বামীকে খুন করেছিলেন এক কণ্যা সন্তানের মা ৷
মঙ্গলবার সকালে রামজীবনপুর পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বৃন্দাবন সরকার(৪১) এর গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছিল তাঁরই বাড়ির উঠোনে ৷ রাতে স্ত্রী সীমা ও একবছরের কণ্যা সন্তানের সঙ্গে বাড়ির ভেতরে ঘুমিয়েছিলেন বৃন্দাবন বাবু ৷ পেশায় রঙের মিস্ত্রি বৃন্দাবন কিভাবে খুন হলেন তা নিয়ে স্ত্রীও ধন্দ প্রকাশ করেছিলেন ৷ শেষমেষ স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে সুত্র পেয়েছিল পুলিশ ৷ মঙ্গলবার রাতেই আটক করা হয়েছিল স্ত্রীকে ৷ বুধবার গ্রেফতার হয় প্রেমিক ও স্ত্রী সীমা ৷
জানা গিয়েছে, রামজীবনপুর পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সীমা সরকারের সঙ্গে বৃন্দাবনের বিয়ে হয়েছিল তিনবছর আগে ৷ বিয়ের আগে থেকেই প্রতিবেশী যুবক সেখ সামেদ আলির সঙ্গে প্রেম ছিল সীমার ৷ বিয়ের পরেও সেই সম্পর্কে ছেদ পড়েনি ৷ এক কণ্যা সন্তান থাকলেও প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক চলছিল ৷ সম্প্রতি তা প্রকাশ্যে আসে ৷ এরপর এই বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে গন্ডগোল চলছিল সীমার ৷ তা থেকেই পথের কাঁটা সরাতে স্বামীকে প্রেমিকের সহযোগীতা নিয়ে গলা কেটে খুন করেছিল সীমাই ৷
পুলিশ মঙ্গলবার রাতে সীমাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো ঘটনা জানতে পারে ৷ তারপরে গ্রেফতার করা হয় সামেদ আলিকে ৷ দুজনকেই বুধবার গ্রেফতার করে তোলা হয় ঘাটাল মহকুমা আদালতে ৷ সেখানে বিচারক তাঁদের পাঁচ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন ৷