পাক সরকারে হিন্দু নীতিতে সায় নেই বালোচদের, হিন্দু মন্দির ফেরানোর মাধ্যমে বার্তা মৌলবীর

Published : Feb 09, 2020, 08:34 AM IST
পাক সরকারে হিন্দু নীতিতে সায় নেই বালোচদের, হিন্দু মন্দির ফেরানোর মাধ্যমে বার্তা মৌলবীর

সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তানে হিন্দুদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হল মন্দির মন্দিরটি দুশো বছরের পুরনো এর পুরোভাগে ছিলেন একজন মৌলবী ঘটনায় উচ্ছ্বসিত স্থানীয় হিন্দুরা

বালোচস্তানে ফের একবার ধাক্কা খেল পাকিস্তান। আরও একবার পাক সরকারের নীতিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলব বালুচিস্তান। পাকিস্তান সরকারের নীতি-র জেরে হিন্দুরা যেভাবে সেদেশে নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে তাতে বালুচিস্তানের এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, বালুচিস্তানে ২০০ বছরের পুরনো একটি মন্দির ফের হিন্দুদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মূলে রয়েছেন এক মৌলবী। 

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তে জোহবের  হিন্দুরা এখন ওই মৌলবীর প্রশংসায় পঞ্চমুখর। সেইসঙ্গে সেখানকার প্রশাসনের প্রশংসা করতেও দ্বিধা করছেন না তাঁরা। জোহব জেলায় এখন বলতে গেলে উৎসবের মেজাজ। এলাকার শীর্ষ স্থানীয় হিন্দু নেতার কথায়, যখন একজন মৌলবী যখন মুসলিমদের বলেন হিন্দুদের হাতে দুশো বছরের পুরনো মন্দির ফিরিয়ে দিতে, তখন সেই অনুভূতি যেন স্মরণীয় হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, মুসলিমদের উপস্থিতিতেই ওই মন্দির নতুন করে উন্মোচন করা হয়েছে দিনদুই আগে। 

জোহবের এক হিন্দুর কথায়, "আজ আমাদের হিন্দুদের কী অনুভূতি তা আমি বলে বোঝাতে পারবো না। নিজেদের ধর্মীয়স্থানে ফিরে যাওয়া সত্য়িই একটা বড় ব্য়াপার। কিন্তু যখন একজন মুসলিম ধর্মীয় নেতা নিজে উদ্য়োগ নিয়ে হিন্দুদের হাতে তাদের মন্দির ফিরিয়ে দেন, তখন তা যেন ধর্মীয় সহিষ্ণুতার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।"

গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় মৌলবী আল্লা দাদ কালার দুশো বছরের  পুরনো মন্দিরটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্থানীয় হিন্দুদের হাতে তুলে দেন। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। জোহবের ডেপুটি কমিশনার তাহা সালেম ছিলেন ওই অনুষ্ঠানের প্রদান অতিথি। সালেমের কথায়, "মনে করা হয় সংখ্য়ালঘুদের পক্ষে বালুচিস্তান একটি ভয়ঙ্কর জায়গা। আজকের ঘটনা কিন্তু অন্য় কথাই বলছে। আজকের ঘটনা শুধু একটা গল্পই বলছে, এখানে এক ধর্মের মানুষ অন্য় ধর্মের মানুষকে ভাইয়ের মতো দেখে।" 

বালুচিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের হাত থেকে স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে আসছে। বিদেশে তৈরি করা হয়েছে স্বাধীন বালোচ সরকার। সেই সরকারের প্রতিনিধিরা বিশ্বের বিভিন্নপ্রান্তে পাকিস্তানে বালোচ প্রদেশে হওয়া অত্যাচারের কাহিনি-ও তুলে ধরেছে। পাকিস্তান সরকারের নীতিতে শুধু বালোচরা-ই নন, সেখানে বসবাসকারী সংখ্যালঘুরাও যে অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে তা নানা তথ্যে তুলে ধরা হয়েছে। স্বাধীন বালোচের পক্ষে সওয়ালকারীরাও ইতিমধ্যে একাধিকবার ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছে। বালুচিস্তানে বসবাসকারী হিন্দুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি নিয়েও তারা আশ্বাস দিয়েছে। ২০০ বছরের হিন্দু মন্দির ফেরানোর পিছনে স্বাধীন বালোচের আন্দোলনকারীদের ভূমিকা রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। 

PREV
click me!

Recommended Stories

দ্বিতীয় বিয়ে করছেন স্বামী! চোখের জলে মোদীর কাছে সাহায্য চাইলেন পাকিস্তানি যুবতী
CDF আসিম মুনিরের হাতেই পাকিস্তানের পরমাণু শক্তির চাবি, সবথেকে শক্তিশালী ব্যক্তি তিনি