বাস-ট্রাক নয়, ভুয়া লাইসেন্স নিয়ে পাকিস্তানে বিমান চালান প্রায় ৪০ শতাংশ পাইলট। যার তার মুখে শোনা খবর নয়। পাকিস্তানের বিমান চলাচল মন্ত্রী নিজেই সংসদে হাজির করেছেন এমন রোমহর্ষক তথ্য।
করাচি বিমানবন্দরের কাছে জিন্না গার্ডেন এলাকার মডেল কলোনিতে গত ২২ মে দুপুরে ভেঙে পড়ে পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। এর ফলে ৯৭ জনের মৃত্যু হওয়ার পাশাপাশি চারটি বাড়িও পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। এরপরই এই দুর্ঘটনার জন্য শোকপ্রকাশ করে টুইট করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কীভাবে ঘটল সেই দুর্ঘটনা, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। সেই তদন্তের রিপোর্ট নিয়ে বলতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন বিমানমন্ত্রী গুলাম সারওয়ার খান।
আরও পড়ুন: ইসলামাবাদে এবার তৈরি হচ্ছে প্রথম হিন্দু মন্দির, ইমরান খরচ করছেন ১০ কোটি টাকা
পাক বিমানমন্ত্রী দাবি করেন, দেশের ৪০ শতাংশ পাইলটের লাইন্সেসই ভুয়ো। বিমান ওড়ানোর ছিঁটেফোঁটাও অভিজ্ঞতা তাঁদের নেই। গুলাম জানান, পাকিস্তানে আপাতত ৮৬০ জন সক্রিয় পাইলট আছেন। তাঁদের মধ্যে ২৬২ জন নিজেরা পরীক্ষায় বসেননি। তাঁদের উড়ান চালানোর ন্যূনতম অভিজ্ঞতাও নেই। বিমানমন্ত্রীর কথায়, ‘প্রায় ৪০ শতাংশ পাইলটের ভুয়ো লাইসেন্স আছে।’
প্রথমে মনে করা হয়েছিল. বিমানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়েছিল। যান্ত্রিক সমস্যার জেরেই সেদিন দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু সেই অভিযোগ সংসদে দাঁড়িয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের বিমানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘বিমানে কোনও যান্ত্রিক সমস্যা ছিল না। বরং মানুষের ভুলেই ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।’ গুলাম সারওয়ার বলেছেন, বিমানের পাইলট এবং কনট্রোলার কেউই সাধারণ নিয়ম মান্য করেননি। এয়ারবাস এ৩২০ ল্যান্ড করানোর সময় দুই পাইলট করোনাভাইরাস নিয়ে আলোচনা করছিলেন। সেই কারণেই বিমানটির ওপর থেকে তাঁরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এদিকে পাক বিমানমন্ত্রী সংসদে এই দাবি করার পরেই পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স তাদের এক তৃতীয়ংশ পাইলটকে সাসপেন্ড করে। ইতিমধ্যে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদও শুরু হয়েছে।