পাকিস্তানেই মুসলিমদের নামাজ-পাঠে বাধা, 'বন্ধু' চিনের হাতে আক্রান্ত ইসলাম, দেখুন ভিডিও

পাকিস্তান মুসলিম দেশ

অথচ সেই দেশেই নামাজ পড়তে নিষেধ করা হচ্ছে

এমনটা করছে সেকানকার চিনা সংস্থাগুলি

এমনই অভিযোগ উঠছে পাকিস্তানে

 

amartya lahiri | Published : Jun 30, 2020 2:45 PM IST / Updated: Jul 13 2020, 08:29 PM IST

চিনকে বলা হয় পাকিস্তানের সব আবহাওয়ার বন্ধু। কিন্তু, সত্যিই কি তারা পাকিস্তানের বন্ধু? নাকি বন্ধুত্বের ছদ্মবেশের আড়ালে লুকিয়ে আছে অনেক বড় বিপদ? সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি বিস্ফোরক ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এই নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। সেই ভিডিওতে এক পাক মুসলিম আলেম দাবি করেছেন, চিনা সংস্থাগুলি পাকিস্তানের মুসলিম কর্মীদের নামাজে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যে নামাজপাঠ ইসলাম ধর্মের মূল পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম।

ভিডিওতে, ওই আলেম পাকিস্তানিদের এই চিনা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চিনা সংস্থাগুলিকে বুঝিয়ে দিতে হবে যে স্থানীয় আইন তাদের মানতেই হবে। পাকিস্তান চিনের করায়ত্ব নয়। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানি কর্মীরা চাকরি হারানোর ভয়ে এই অনৈতিক নির্দেশ মেনেও নিচ্ছেন। কিন্তু, এটা এখন পাকিস্তানিদের কাছে আত্মমর্যাদা রক্ষার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নামাজ-কে উপেক্ষা করা উচিত নয়।

জানা গিয়েছে কাজের সময় কাজ ছাড়া আর কিছু করুক কর্মীরা, এমনটা মোটেই পছন্দ নয় চিনা সংস্থাগুলির। তাই অফিস চলাকালীন নামাজ পড়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে তারা। এদিন আরও এক ভাইরাল হওয়া ভিডিও-তে এক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় দেখা গিয়েছে। সেই ভিডিও-র ক্যাপশনে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তি পাকিস্তানি নাগরিক। তিনি এক চিনা সংস্থায় কাজ করেন। কাজের মধ্যে নামাজ পড়ার জন্য তাঁকে বেদম পেটানো হয়েছে। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা।
 

পাকিস্তানে চিন দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে বিনিয়োগ করেছে। তাই পাক জনতার সমর্থন সঙ্গে রাখার বিষয়ে চিনাদের স্বার্থ রয়েছে বলে মনে করা হয়। তবে বেজিং বরাবরই ইসলামের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। চিনে উইঘুর মুসলিমদের দূরবস্থার কথা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফোরামে উঠে এসেছে। জিনজিয়াং প্রদেশের করামায়ে শহরে গণপরিবহনে দাড়িওয়ালা পুরুষ এবং হিজাবে মাথা ঢাকা মহিলাদের উঠতে দেওয়া হয় না।

 

 

Share this article
click me!