চিনা ইঞ্জিনিয়ারের বেদম মারে আর্তনাদ করছে পাকিস্তানি, ভাইরাল ভিডিও-র পিছনে সত্যটা কী

চিনা ইঞ্জিনিয়ার পেটাচ্ছেন পাকিস্তানি ড্রাইভারকে

চিন পাকিস্তান ইকোনমিক করিডরের কাজে করাচিতে এসেছিলেন তিনি

এমনই দাবি করে পোস্ট করা হয়েছে এক নির্মম  মারের ভিডিও

নেপথ্যের ঘটনা আসলে কী

 

amartya lahiri | Published : Jun 30, 2020 12:51 PM IST / Updated: Jul 13 2020, 08:30 PM IST

৫০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও। দেখা যাচ্ছে এক চশমা পরা ব্যক্তি আরেকজনকে মাটিতে ফেলে নির্মমভাবে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে। পড়ে পড়ে মার খাওয়া ব্যক্তিটি  যন্ত্রনায় চিত্কার করে উঠছে। হাত জোর করে বার বার করে ক্ষমা প্রার্থনা করছে, কিন্তু মার থামছে না। হলুদ টি-শার্ট পরা আরও একজনকে পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে, কিন্তু তিনি ঘটনায় হস্তক্ষেপ করছেন না।

ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে, অনেকেই দাবি করেছেন, এই ভিডিওটি করাচিতে নকল পেট্রোল বিল জমা দেওয়ার জন্য এক পাকিস্তানী গাড়িচালককে  এক চিনা ইঞ্জিনিয়ারের মারের ভিডিও। আরও দাবি করা হয়, চিন-পাকত ইকোনমিক করিডোর প্রকল্পের জন্য পাওয়ারচিনা গানসু এনার্জি সংস্থার হয়ে কাজ করতে তিনি পাকিস্তানে এসেছিলেন। সিপিইসি প্রকল্পের কাজে পাকিস্তানে এসে চিনা ইঞ্জিনিয়াররা এরকম নির্মম আচরণ করেই থাকেন। সত্যিই কি তাই? ভিডিওটি কি পাকিস্তানে চিনাদের অত্যাচারের ছবি ফাঁস করে দিল?

বহু নেটিডেন এবং প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমও জাইদু নামক এক পাক টুইটার ব্যবহারকারীর এই ভাইরাল পোস্টটিকে সত্যি বলে মনে করেছিল। তবে এশিয়ানেট নিউজ বাংলার ভিডিওটির কিফ্রেম ধরে ধরে অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে দেখা গিয়েছে ভিডিওটি মোটেই করাচির নয়। ইন্টারনেটে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসেই এই ভিডিও পোস্ট করা হয়েছিল এবং ওই সময় মালয়েশিয়ার বহু নেটিজেন ভিডিওটি পোস্ট করেছিলেন।

এছাড়া ভিডিওতে হলুদ টি-শার্ট পরা যে ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে, সেই টিশার্টে 'বেরসিহ ৫' লেখা লোগো রয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৯ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে 'বেরসিহ ৫' নামে একটি সমাবেশ করাল হয়েছিল। তারই লোগো ওই ব্যক্তির পরণে রয়েছে। ওই সময়ের বেশ কয়েকটি মালেশিয় সংবাদমাধ্যমেও এই ভাইরাল ভিডিওটির বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। জানানো হয়েছিল মালয়েশিয়ার পুলিশ ভিডিওটির বিষয়ে তদন্ত করছে।

কাজেই ভিডিওটি করাচির অবশ্যই নয় এবং চিনা ইঞ্জিনিয়ার বলে যাকে দাবি করা হচ্ছে, তিনি সম্ভবত মালয়েশিয় এক ব্যক্তি। কাজেই ভাইরাল পোস্টের দাবিটি ভুয়ো।

 

Share this article
click me!