মার্কিন সফরে গিয়ে দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্য়াচার নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ধমক সহ্য করতে হয়েছিল পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। তারপর দেশে ফিরে এক শিব মন্দির ভ্রমণ ও স্থানীয় হিন্দুদের সঙ্গে আলাপচারিতার মাধ্যমে অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ইমরান। কিন্তু, ফের খাইবার পাখতুনিয়া প্রদেশে এক শিখ তরুণী পাকিস্তানে অত্যাচারের শিকার হলেন।
অভিযোগ গত ২৭ অগাস্ট তাম্বু সাহিব, নানকানা সাহিবের গ্রন্থি ভগবান সিং-এর ১৬-১৭ বছরের মেয়েকে তার দিদির বাড়ি থেকে মহম্মদ এহসান নামে এক স্থানীয় যুবক ও তার সঙ্গীরা বন্দুক দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায়। তারপর তাঁকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয় এবং জোর করে তাঁকে বিয়ে করে মহম্মদ এহসান।
সেই বিয়ের ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই ভিডিওতে তাঁকে একটি কালো দোপাট্টা পরে এহসানের পাশে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। ভয়ার্ত মুখেই তিনি ভিডিওতে বলেন এহসানকে তিনি স্বেচ্ছায় বিয়ে করছেন। তারপর এক মৌলবীর সঙ্গে বর-বউকে দেখা যায় কুরানের সুরা আওড়াতে। এহসানের দাবি তরুণীর বয়স ১৯।
আর কয়েকদিন পরেই শিখ ধর্মগুরু নানক দেবের ৫৫০তম জন্মদিন। কাশ্মীর নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেও এই বিশেষ মুহূর্ত উপলক্ষে কর্তারপুর করিডোর শিখ তীর্থযাত্রীদের জন্য খুলে রেখেছে। তার মধ্যেই এই ঘটনা স্থানীয় শিখ সম্প্রদায়ের কাছে বড় ধাক্কা।
এই ঘটনার পর তরুণীর ভাই, মনমোহন সিং নানকানা সাহিব থানায় এহসান ও আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার মধ্যে এক মহিলার নামও রয়েছে। এঁদের বিরুদ্ধে অপহরণ, জোর করে ধর্মান্তকরণ ও বিয়ে করার অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। বরং গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মদিনের আগে তাদের এই ঘটনা নিয়ে হইচই না করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।