পাকিস্তানের এক বিশেষ আদালত বৃহস্পতিবার সেই দেশের প্রাক্তন সামরিক শাসক পারভেজ মুশারফ র জন্য এক ভয়ঙ্কর অদ্ভূত রায় জানালো। পাক আদালত নিরর্দেশ দিল, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগে মুশারফ মারা গেলে তার লাশ সংসদে টেনে নিয়ে গিয়ে তিনদিন ঝুলিয়ে রাখতে হবে। আদালতের এই নির্দেশ অবশ্য প্রতীকী বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার আদালত, মুশাররফকে ২০০৭ সালে সংবিধান লঙ্ঘন করার জন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। বুধবার পাক সরকার-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, আদালতের এই দণ্ডাদেশে ত্রুটি রয়েছে। তারপরই আদালত এদিনের নির্দেশ দিল। বর্তমানে দুবাইয়ে চিকিত্সাধীন মুশারফ। আদালত, এদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্টের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য তাকে সেখান থেকেই গ্রেফতার করে আনতে হবে। তবে তার আগেই তার মৃত্যু হয়, তবে তাঁর লাশ ইসলামাবাদের ডি-চক'এ টেনে নিয়ে গিয়ে তিন দিনের জন্য ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
এই নির্দেশ প্রতীকী বলে মনে করা হলেও আদালতের এই নির্দেশা অসাংবিধানিক বলছেন পাক আইন বিশেষজ্ঞরা। পাক আদালতের ইতিহাসে প্রকাশ্যে লাশ ঝুলিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার একটিমাত্র উদাহরণ রয়েছে। এক সিরিয়াল কিলারকে এক পাক আদালত প্রকাশ্যে ফাঁসি দিয়ে তার লাশ ভুক্তভোগীদের পরিবারের সামনে ১০০ খণ্ড করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই দণ্ডাদেশ অবশ্য কার্যকর করা হয়নি।
মুশারফ দুবাই থেকে বলেছেন তাঁর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁর আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তাঁরা এই দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবেন।
এই রায়টি কিন্তু পাক সামরিক বাহিনীর মধ্যে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছে। সেনাবাহিনীর অভিযোগ আদালত আইনি প্রক্রিয়া উপেক্ষা করেছে। মুশারফের দেশপ্রেমের কথা তুলে তাঁর কাজকে সমর্থন জানিয়েছে। পাক সেনার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই রায়ে তারা ব্যথিত।