ফের পাকিস্তানে জোর করে ধর্মান্তরের অভিযোগ উঠল। সিন্ধ প্রদেশে এক কৃতী ছাত্রীর মৃতদেহ মিলল হস্টেলের বন্ধ ঘর থেকে। পুলিশের পক্ষ থেকে আত্মহত্যা বলে ঘটনাটিরকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও পরিবারের অভিযোগ ছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। তার আগে তাঁকে জোর করে ধর্মান্তরের চেষ্টা করা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
নম্রিতা চন্দানি ছিলেন প্রথম বর্ষের মেডিক্যালের ছাত্রী। সিন্ধ প্রদেশের ঘোটকি শহরে তাঁর বাড়ি। মঙ্গলবার হস্টেলের বন্ধ ঘরে একটি চৌকির উপর তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর গলায় জড়ানো ছিল ওড়না। পাক পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্ত ইঙ্গিত দিচ্ছে আত্মহত্যাই করেছে নম্রিতা।
তাঁর ভাইয়ের দাবি, দিন দুই আগেও বোনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কোনওরকম মানসিক অশান্তিতে ছিলেন না তাঁর বোন। এছাড়া নম্রিতার গলায় ও হাতে তার দিয়ে বেঁধে রাখার দাগ পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। কাজেই তাঁকে হত্যা করে পরে তাঁর গলায় ওড়না জড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেই সন্দেহ করছেন তিনি। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
দিন কয়েক আগেই এই ঘোটকি শহরেরই এক হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালিয়েছিলেন স্থানীয় মুসলিমরা। শহরের এক স্কুলের হিন্দু প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে মুসলিম ধর্মের নিন্দা করার অভিযোগ উঠেছিল। তারপরই মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়।
সাম্প্রতিক কালে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের জোর করে ধর্মান্তরিত করার ঘটনা বেড়েছে। গত মাসেই এক শিখ তরুণীকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্মান্তকরণ ও বিবাহ করার অভিযোগ উঠেছিল। এক মার্কিন সিন্ধি সংস্থার হিসেব অনুযায়ী প্রতি বছর পাকিস্তানে ১২ থেকে ২৮ বছর বয়সী প্রায় ১০০০ জনকে জোর করে ধর্মান্ত্রিত করা ও বিয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের মানবাধিকার পরিষদের নিজেদের হিসেবেই ২০০৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৮ সালের মে মাস পর্যন্ত ৭৪৩০ জন সিন্ধি মহিলাকে অপহরণ করা হয়েছে। আসল সংখ্যাটা স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি।