করোনা বিশ্বে হইচই ফেলে দিল ইমরানের দেশ, ৬০ বছর বয়সে গর্ভবতী পাকিস্তানি প্রৌঢ়

  • ৬০ বছর বয়সে গর্ভবতী প্রৌঢ়
  • মেডিক্যাল রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর দাবি
  • রিপোর্ট দেখেই অজ্ঞান হলেন প্রৌঢ়
  • বিষয়টি পৌঁছল দেশের স্বাস্থ্য কমিশন পর্যন্ত

Asianet News Bangla | Published : Apr 21, 2020 7:26 AM IST / Updated: Apr 21 2020, 12:58 PM IST

এই পৃথিবীতে এমন অনেক ঘটনা ঘটে, যা কেবল বিস্ময়ের জন্ম দেয়। তেমনি এক ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের খানেবাল এলাকায়।  ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষায় এখানকার এক ৬০ বছরের প্রৌঢ়ের মেডিক্যাল রিপোর্টে তাঁকে গর্ভবতী বলে দাবি করা হয়েছে। গত সোমাবার এই ঘটনা সামনে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে সেখানে। জানা যাচ্ছে আল্লা বিট্টা নামের ওই প্রৌঢ় চিকিৎসা করানোর জন্য খানেবালের  ডিএইচকিউ হাসপাতালে এসেছিলেন। সেখানে তাঁর প্রস্তাব পরীক্ষা করা করা বলা হয়। সেই মত এক বেসরকারি ল্যাবে তিনি মূত্র পরীক্ষা করান। তার পরেই ওই প্রৌঢ়ের জন্য অপেক্ষা করছিল বিস্ময়। রিপোর্টে দাবি করা হয় তিনি গর্ভবতী। এই রিপোর্ট দেখেই জ্ঞান হারান ৬০ বছরের আল্লা বিট্টা। 

আরও পড়ুন: জলের থেকেও সস্তা এবার তেল, আমেরিকায় জ্বালানির দাম নেমে গেল শূন্য ডলারেরও নিচে

বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসতেই শুরু হয় তদন্ত। এমনকি পাকিস্তানের স্বাস্থ্যসেবা কমিশনেরও নজর এড়ায়নি। এর পরেই ডিএইচকিউ হাসপাতালে পাশে অবস্থিত  ল্যাবটি সিল করে দেন খানেবালের জেলা শাসক। গ্রেফতার করা হয় ল্যাব মালিক আমিনকেও। স্বাস্থ্য দফতর তদন্তে নেমে জানতে পারে ওই ল্যাবটি লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধ ভাবে চালান হচ্ছিল। এমনকি সেখানে কোনও চিকিৎসকও কাজ করতেন না। এভাবেই গত ২ বছর ধরে চলছিল ল্যাবটি। 

এদিকে পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রৌঢ়ের গর্ভবতী হওয়ার খবর  ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে মজা করা শুরু করেন। নেটিজেনদের কেউ কেউ এটিকে ভুয়ো খবর বলেন, আবার এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার জন্য দেশের সরকারকেও দায়ি করেন অনেকেই। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই এই ধরণের খবর ছড়িয়ে পড়ায় অবাক হন। এমনকী অনেকেই ল্যাবে পরীক্ষা করা মেডিক্যাল রিপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নও তুলে দেন।

আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণের প্রভাব অর্থনীতিতে, নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে অভিবাসন বাতিল ট্রাম্পের

পাকিস্তানের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে বারাবর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সেদেশের সরকারকে। পাকিস্তান প্রদেশে চিকিৎসা পরিষেবার চিত্র খুবই সঙ্গীন।  সেকরাণে রোগীদের চরম দুর্দশার মধ্যে পড়তে হয়। দারিদ্র্যের কারণে গরিব মানুষরা বড় হাসপাতালগুলিতে যেতে পারেন না, এবং সহজেই ভুয়ো চিকিৎসকের খপ্পরে পড়ে যান।পঞ্জাবে এরকমি ভুয়ো ল্যাব এবং চিকিৎসকের রমরমা রয়েছে। সরকারি হাসপাতালের পরিস্থিতিও ভাল নয়। কয়েকদিন আগেই এলাকার এক সরকারি হাসপাতালে চোখের অপরাশেন করার পর দৃষ্টিশক্তি হারান করেকজন রোগী।  শুধু তাই নয় এই হাসপাতালের এক চিকিৎসকের ডিউটিতে থাকা অবস্থায় ভাইরাল নাম সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। 

দক্ষিণ পঞ্জাবে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে বার বার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে প্রশাসনকে। এই অবস্থায় স্থআনীয়দের বেশিরভাগকেই চিকিৎসার জন্য মুলতানের হাসপাতালে যেতে হয়। 


 

Share this article
click me!