দু' দেশের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও ভারতে আসার আমন্ত্রণ পেতে চলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আর সেই আমন্ত্রণ জানাবে ভারত সরকারই। ভারতে অনুষ্ঠিত শাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন-এর বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্যই পাক প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এ বছর এই বৈঠকের আয়োজক দেশ ভারত।
যদিও এই বৈঠকে শেষ পর্যন্ত ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা এই বৈঠকে ইমরান খান যোগ দেবেন কি না, তা পুরোপুরি নির্ভর করছে ইসলামাবাদের সিদ্ধান্তের উপরেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ আমলা একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিককে বলেন, 'প্রোটোকল এবং বৈঠকের রীতি মেনেই পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তার পর সেই বৈঠকে পাক প্রধানমন্ত্রী বা তাঁর কোনও প্রতিনিধি যোগ দেবেন কি না, সেটা পুরোপুরি পাকিস্তানেরই সিদ্ধান্ত। তাছাড়া এই বৈঠকের এখনও অনেকটাই দেরি আছে।' সূত্রের খবর চলতি বছরই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
২০০১ সালে শাংহাইতে রাশিয়া, চিন, কিরঘিজ প্রজাতন্ত্র, কাজাকস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান-এর রাষ্ট্রপতিরা মিলে শাংহাই অর্গানাইজেশন কর্পোরেশন বা এসসিও গঠন করেছিলেন। ২০১৭ সালে ভারত এবং পাকিস্তান এসসিও-র পূর্ণ সদস্য হয়েছিল।
এই প্রথমবার ভারত এসসিও-র বৈঠকের আয়োজন করছে। এসসিও-র মহাসচিব ভ্লাদিমির নোরোভ সোমবার দিল্লিতে এসে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। তবে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে এই বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়েছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। মূল বৈঠকের আগে ভারতে এসসিও-র একাধিক প্রস্তুতি বৈঠক হবে বলেও জানিয়েছেন নোরোভ। ইউরেশিয় অঞ্চলে নিরাপত্তা এবং আর্থিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এসসিও গঠিত হয়েছিল।