শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছলেন ইমরান খান। আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করাই লক্ষ্য় পাক প্রধানমন্ত্রীর। ট্রাম্প প্রশাসন যে তাঁকে জামাই আদর করবে না তা শুরুতেই বুঝিয়ে দেওয়া হল। ট্রাম্প প্রশাসনের কোনও উচ্চপদস্থ কর্তাই তাঁকে স্বাগত জানাতে এলেন না বিমানবন্দরে।
শনিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার মার্কিন সফরে এসেছেন ইমরান খান। আর শুরুতেই মার্কিন প্রশাসনের তরফ থেকে তাঁকে চুড়ান্ত অবহেলা ও উপেক্ষা উপহার দেওয়া হল। সাধারণত কোনও রাষ্ট্রনেতা মার্কিন সফরে এলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বা ট্রাম্পের উচ্চপদস্থ সেক্রেটারিদের কেউ উপস্থিত থাকেন। কিন্তু ইমরানের ক্ষেত্রে যেটুকু না থাকলেই নয়, সেটুকুই করা হল।
কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিমানে শনিবার আমেরিকায় এসে পৌঁছান ইমরান খান। মার্কিন প্রশাসনের তরফে ইমরানকে স্বাগত জানাতে বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন শুধুমাত্র একজন প্রোটোকল অফিসার। বরং ইমরানকে আমেরিকার মাটিতে গ্রহণ করলেন তাঁর সরকারেরই বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ খুরেশি। তবে ইমরানকে নিয়ে পাকিস্তানি-আমেরিকানদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্য়েই মার্কিন সফরে এসেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে এসেছেন তাঁর বিদেশ সচিব সোহেল মাহমুদ ও বানিজ্য পরামর্শদাতা আব্দুল রজ্জাক। সোমবারই হোয়াইট হাউসে ইমরান-ট্রাম্প বৈঠকের কথা। সেখানে যে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী বড়সড় চাপের মুখে পড়তে চলেছেন, তা তিনি মার্কিন মুলুকে পা রাখার পরই ঠারে ঠারে বুঝিয়ে দেওয়া হল।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রকাশ্য়েই সন্ত্রাসবাদ দমনে ইসলামাবাদের সমালোচনা করেছিলেন। সামরিক ও আর্থিক সহায়তাও বন্ধ করে দেন। ইমরানের মার্কিন সফরের দিন কয়েক আগেই ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু তা স্রেফ 'আইওয়াশ', এতে ভবি ভুলবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।