কাশ্মীর সমস্যাকে যে করেই হোক আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে চাইছে ইসলামাবাদ। কুটনৈতিক সম্পর্কের বন্ধন কমিয়ে ফেলা থেকে ট্রেন বাতিল, সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান বন্ধ করা - এইরকম নানা পদক্ষেপ তারা নিয়েছে। দিল্লির অভিযোগ এই সব করে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মহলে কাশ্মীরের একটা উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরতে চাইছে। আর এর জন্য এবার 'বন্ধু' খুঁজতে বের হলেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। শুক্রবার সকালেই কাশ্মীর নিয়ে চিনের সঙ্গে আলোচনা করতে তিনি বেজিং পৌঁছেছেন।
গত রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তারপর থেকেই কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ফের উত্তেজনারক আঁচ বাড়ছে। পাকিস্তান ভারতের ৩৭০ ধারা বাতিল করার পদক্ষেপ মানতে নারাজ। এদিকে দিল্লি বারবারই দাবি করেছে এটা ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়। এই নিয়ে পাকিস্তানের কিছু বলার থাকতে পারে না।
কাশ্মীরের একটা অংশ চিনের দখলেও রয়েছে। এছাড়া এর আগে বিভিন্ন সমস্যায় পাকিস্তান পাশে পেয়েছে চিনকে। তাই কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে প্রথমেই বেজিং-এর মুখাপেক্ষী হয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী। ইসলামাবাদের চিনা দুতাবাসের ডেপুটি শেফ অব দ্য মিশন লিজিয়ান ঝাও জানিয়েছেন পাকিস্তানের অনুরোধে অতি দ্রুত এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে চিন সফরে সেই দেশের বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈছঠক হবে কুরেশির। এছাড়াও অন্যান্য স্টেট কাউন্সিলর ও অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন। পাক বিদেশ সচিব সোহেল মাহমুদও কুরেশির সঙ্গে গিয়েছেন চিন সফরে। এবার কাশ্মীর নিয়ে চিন-পাকিস্তান যৌথ কোনও পদক্ষেপ নেয় কিনা সেটাই দেখার।