ফ্রান্সে 'নিখোঁজ' পাক রাষ্ট্রদূত, ইসলাম নিন্দার প্রতিবাদ করতে গিয়ে হাসির খোরাক ইমরান

ফরাসী রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ

প্রতিবাদে রাষ্ট্রদূতকে ফ্রান্স থেকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান

কিন্তু, কোথায় পাক রাষ্ট্রদূত

খুঁজতে গিয়ে ফের হাসির খোরাক পাকিস্তান

amartya lahiri | Published : Oct 27, 2020 3:07 PM IST / Updated: Oct 29 2020, 12:26 PM IST

ফরাসী রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ ইসলাম ধর্মের অবমাননা করেছেন। এই অভিযোগে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে ফ্রান্স থেকে পাক রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করেছে। কিন্তু, কোথায় পাক রাষ্ট্রদূত? অনেক খুঁজে পেতেও ফ্রান্সে পাক রাষ্ট্রদূতের কোনও খোঁজ মিলল না। কারণ, বর্তমানে ফ্রান্সে পাকিস্তানের কোনও রাষ্ট্রদূতই নেই।

কোথায় পাক রাষ্ট্রদূত?

জানা গিয়েছে মইন-উল-হক নামে এক পাক কূটনীতিক শেষ এই পদে ছিলেন। কিন্তু, তিন মাস আগেই তাঁকে চিনে পাক রাষ্ট্রদূতের পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। আর তারপর থেকেই প্যারিসে কোনও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত নেই। পাক বিদেশ দপ্তর তাঁর জায়গায় এখনও অন্য কাউকে নিয়োগ করতে পারেনি। ফ্রান্স-সহ অনেকগুলি দেশেই পাক রাষ্ট্রদূতের পদ এখন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। মহম্মদ আমজাদ আজিজ কাজি নামে এক পাক কূটনীতিক প্যারিসে পাক দূতাবাসে ডেপুটি হেড পদে রয়েছেন। আপাতত তিনিই সর্বোচ্চ সিনিয়র কূটনীতিক প্যারিসে পাক দূতাবাসের বিষয়গুলির তদারকি করছেন।

হাস্যাস্পদ পাকিস্তান

সোমবার সন্ধ্যায় পাক জাতীয় সংসদে ফ্রান্স থেকে রাষ্ট্রদূত ফিরিয়ে আনার প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। সেইসময় সংসদে উপস্থিত ছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। জানা গিয়েছে, ফ্রান্সে যে পাক দূতাবাসে এই মুহূর্তে কোনও রাষ্ট্রদূত নেই, সেই বিষয়টি তিনি জানতেন। কিন্তু, সংসদে এই বিষয়ে উত্তপ্ত আলোচনা চলাকালীন তিনি সেই তথ্য জানাননি। জানা গিয়েছে প্রথমে ইসলামাবাদে নিযুক্ত ফরাসী রাষ্ট্রদূতকেই বহিষ্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেই পদক্ষেপের কড়া আন্তর্জাতিক প্রভাবের কথা ভেবে পাকিস্তানের সরকার পক্ষ সেই প্রস্তাব থেকে ঘুরিয়ে ফ্রান্স থেকে পাক রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের প্রস্তাব দিয়েছিল। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। ফের একটি আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে কড়া জবাব দিতে গিয়ে হাস্যাস্পদ হয়েছে পাকিস্তান।

ইসলামি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি

এর আগে ছাত্রছাত্রীদের হজরত মহম্মদ-এর ব্যঙ্গচিত্র দেখানোর জন্য শিরশ্ছেদ করা শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটির স্মৃতিচারণ করে ফরাসী প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, 'এই শিক্ষকের হত্যা বলে দিচ্ছে ইসলামবাদীরা আমাদের কী ধরণের ভবিষ্যত চায়'। 'ইসলামপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী'রা ফ্রান্সের বেশ কিছু অঞ্চলে মুসলিম সম্প্রদায়কে গ্রাস করার হুমকি দিচ্ছে দাবি করে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।

এরদোগানের সুরে সুর মেলালেন ইমরান

শনিবারই তুরস্কের রাষ্ট্রপতি এরদোগান ফরাসী রাষ্ট্রপতির কড়া সমালোচনা করে 'ইসলামভীতির উত্থান' বলে মন্তব্য করেছিলেন। এমনকী ম্যাক্রঁর মানসিক চিকিৎসা দরকার এমন মন্তব্যও করেছিলেন। সেই সুরে সুর মিলিয়েই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন, এই সময়ে রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রঁ চরমপন্থীদের জায়গা দিতে অস্বীকার করে মুসলিমদের নিরাময় স্পর্শ দিতে পারতেন। বদলে তিনি আরও ধর্মীয় মেরুকরণ ও প্রান্তিকিকরণ তৈরি করছেন, যা অনিবার্যভাবে উগ্রপন্থীকরণের দিকে পরিচালিত করবে। মুসলমানদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রঁর বিরুদ্ধে।

Share this article
click me!