কর্তারপুর করিডর চুক্তি কী শুধু ভারতের সঙ্গে চুক্তি করেছে, এই প্রশ্ন দেশের অভ্যন্তরে ঘুরপাক খাচ্ছে। সম্প্রতি একটা রিপোর্টে জানা গিয়েছে, এই চুক্তির মাাধ্যমে দরবার শরিফে আসা তীর্থযাত্রীদের পাকিস্তানে ভিসা ছাড়া প্রবেশ করতে দেওয়ার জন্য পরিষেবা বাবদ ২৫৯ কোটি টাকা আদায় করতে পারবে । বর্তমানে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ভাড়ার শূন্য। দেশের অর্থনীতির পরিকাঠামো একপ্রকার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান কর্তারপুর করিডর চুক্তি করে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব নয়, দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে চাইছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
ভারতের অনুরোধ মানল না পাকিস্তান, যেতে বাধা নেই শিখদের, দিতে হবে মোটা মাশুল
ভারতের বার বার অনুরোধের পর শিখ তীর্থযাত্রীদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার সিদ্ধান্তে আটল রয়েছে পাকিস্তান। প্রতিদিন পাকিস্তান ৫০০০ শিখ পুণ্যার্থীকে গুরুদ্বার দরগা শরিফে যেতে দেবে। তীর্থযাত্রীরা সকালে যাবেন আর সন্ধের মধ্যে তীর্থযাত্রীদের আবার ভারতে ফিরে আসতে হবে। হিসেব করে দেখা গিয়েছে, পাকিস্তান প্রতি দিন গড়ে ৭১ লক্ষ টাকা করে আয় করবে।
বৃহস্পতিবার কর্তারপুরে শিখ পুণ্যার্থীদের কী কী করা যাবে আর কী কী করা যাবে না, তার একটা তালিকা তৈরি করেছে। নয়াদিল্লি সসেই তালিকায় জানিয়েছে পুণ্যার্থীরা ১১ হাজারের বেশি টাকা নিয়ে যেতে পারবে না। ১৩ বছরের নীচে ও ৭৫ বছরের ওপরে কেউ কর্তারপুরে যেতে চাইলে, কোনও দলের সঙ্গে যেতে হবে। তাঁরা একা একা যেতে পারবেন না। শিখ পুন্যার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে হবে কর্তারপুরে যাওয়ার জন্য। তারপরে দিন প্রশাসনের তরফে ঠিক করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।