কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দ্বারস্থ হল পাকিস্তান। সম্প্রতি ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিয়েছে এবং এই রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করেছে। এই বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক চেয়েছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে রাষ্ট্রসংঘকে লেখা চিঠিতে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি জানিয়েছেন 'তাঁরা কোনও দ্বন্দ্ব চান না। কিন্তু তাঁদের সংযমকে দুর্বলতা ভাবার ভুল যেন না করে ভারত'।
সরাসরি না হলেও রাষ্ট্রসংঘকে লেখা ওই চিঠিতে ভারতের প্রতি প্রচ্ছন্ন হুমকিও দিয়েছেন কুরেশি। তিনি লিখেছেন, 'ভারত যদি ফের শক্তি প্রয়োগের রাস্তায় আসে, তাহলে বাধ্য হয়ে পাকিস্তানও সর্বশক্তি দিয়ে তার প্রতিরোধ করবে।' ৩৭০ ধারা বিলোপের বিষয়ে তিনি বলেছেন, ভারতের এই 'বিপজ্জনক পদক্ষেপ' নিয়ে পাকিস্তান নিরাত্তা পরিষদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক চায়।
গত সপ্তাহে শুক্রবার আচমকা বেজিং সফরে গিয়েছিলেন পার বিদেশমন্ত্রী। সেখানে নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর বিষয়ে চিনের সমর্থন আদায় করাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। চিনের বর্তমান মনোভাব হল,ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের সঙ্গেই সমান সম্পর্ক রাখা। কাশ্মীর বিষয়ে ভারতের সঙ্গে একমত নাহলেও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে তারা। শনিবার যদিও পাকিস্তান দাবি করেছে, ৩৭০ ধারা বিতল করা নিয়ে পাকিস্তানের রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্ত হওয়ার বিষয়ে বেজিং-এর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
১৫টি সদস্য দেশের নিরাপত্তা পরিষদ পাকিস্তানের এই আবেদনে সাড়া দেয় কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পাকিস্তানের চিঠি তারা পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে নিরাপত্তা পরিষদ পরিচালনার দায়িত্ব পোল্য়ান্ডের। সেই দেশের বিদেশমন্ত্রী জাচেক জাপুতোভিজ জানিয়েছেন, পাকিস্তানের চিঠি তাঁরা পেয়েছেন। এইবার সদস্যরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তবে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন।