ব্রহ্মপুত্রর পরে এবার ঝিলামের ওপর বাঁধ নির্মানের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই সেই কারণেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সরকার চিনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ভারত বারবার পাকিস্তানকে অবৈধভাবে দখল করে রাখা একালা খালি করার কথা বলার পরেও পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ গ্রহণে দুই দেশের সম্পর্কে আরও প্রভাব পড়বে বলেও মনে করা হচ্ছে। এই চুক্তি অনুযায়ী চিন-পাকিস্তানের অর্থনৈতির করিডোরের অংশ হিসেবে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে একটি ৭ হাজার মেগাওয়াটের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করা হবে। এই প্রকল্প তৈরিকে খরচ হবে ১.৩৫ মার্কিন বিলিয়ন ডলার।
পাকিস্তানের ডন পক্রিকার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পাক অধিকৃক কাশ্মীরের সাদানোটি জেলায় ঝিলাম নদীর ওপর তৈরি হবে এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। আদাজ পাট্টান জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নামকরণ করা হয়েছে। চিনের গেজোউবা গ্রুপ পাকিস্তানের লারাব গ্রুপের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করবে। আর এই প্রকল্পটির জন্য টাকা দেবে চিনা উন্নয়ন ব্যাঙ্ক, চিনা কংন্সট্রাকশন ব্যাঙ্ক ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক অব চায়না ও ব্যাঙ্ক অব চায়না। ইতিমধ্যেই জল বন্টন-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে পিওকে-র বিদ্যুৎ মন্ত্রী জাফম মাহমুদ খান ও আজাদ পাট্টান পাওয়ার প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যে যাতবীয় চুক্তি হয়ে গেছে।
বালুচিস্তানের গদ্দার বন্দরকে চিনের জিনজিয়াং প্রদেশের সঙ্গে সংযুক্ত করার উদ্দেশ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে বেল্ট অ্যার রোড ইনিসিয়েটিভ প্রকল্প। যার বিরোধিতায় সরব হয়েছে ভারত। কারণে ভারত পাক অধিকৃক কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকা ফিরিয়ে দিতে বলেছে পাকিস্তানকে। কিন্তু চিন পাশে থাকায় পাকিস্তান বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও গুরুত্ব দেয়নি। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে দেশটি সস্তায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে এই প্রকল্প গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে এই প্রকল্প তৈরি হয়ে গেলে ৩০০০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ২০২৭ সালের মধ্যে এই গ্রিড থেকে ৩২৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে বলেও আশা করা হচ্ছে।