সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী সপ্তাহেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান যাচ্ছেন মার্কিন সফরে। প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনকালে এই প্রথম কোনও পাক প্রধানমন্ত্রী মার্কিন মুলুকে পা রাখছেন। এর আগে অবশ্য তাঁর মার্কিন সফরে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের বাড়িতে থাকা নিয়ে বিস্তর জল্পনা হয়েছিল। বাড়তি খরচে রাশ টানতেই কোনও বিলাসবহুল হোটেলের পরিবর্তে পাক রাষ্ট্রদূতের বাড়িতে থাকার কথা প্রকাশ্যে আসার পর তা নিয়ে শুরু হয় জোর কাটা-ছেঁড়া।
তবে ইমরান খানের মার্কিন সফরকালে যে বিষয়টির ওপর নজর সবথেকে বেশি তা হল, ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মার্কিন মুলুকের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার পথ কি আদৌ সুগম হবে। আর এই প্রশ্ন আরও একপ্রস্থ জল্পনা উস্কে দিয়েছে। কারণ সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের তরফে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয় যে, নিরাপত্তার খাতে আর্থিক সহযোগীতার ক্ষেত্রে যে স্থগিতাদেশ আনা হয়েছে তা জারি থাকবে। তবে এখন প্রশ্নন হল যে, পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেও কি এই স্থগিতাদেশ জারি থাকবে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার খাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বহু বছর থেকেই কয়েক লক্ষ ডলার অনুদান প্রদান করে আসছে। বিশেষত পাকিস্তানের বুকে বেড়ে ওঠা জঙ্গিঘাঁটি নির্মূল করতেই এই অনুদান প্রদান করা হত। কিন্তু প্রেসিডেন্টের আসনে বসার পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প পাক সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে থাকে, যাতে তাদের পক্ষ থেকে জঙ্গি দমনে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু আখেরে কোনও কাজ না হওয়ায় চলতি বছরের শুরু থেকেই নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ অনুদান বন্ধ করে দেয় ট্রাম্প সরকার।
তবে তালিবানদের সঙ্গে আলোচনা বৈঠকে পাকিস্তান একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছিল। এই আলোচনার পথ ধরেই ওয়াশিংটন চেষ্টা করছে প্রায় দু'দশক ধরে চলতে থাকা আফগান যুদ্ধের যাতে অবসান হয়। তবে অনেকের ধারণা পাক প্রধানমন্ত্রীর এই মার্কিন সফরে পাক-মার্কিন সমস্যার জট অনেকটাই কেটে যেতে পারে।