পাকিস্তানে গোপন সাইবার-বাহিনী তুরস্কের মদতে, নেতৃত্বে রয়েছে কুখ্যাত টার্কির মন্ত্রী সোয়লু

পাকিস্তানের গোপন সাইবার বাহিনী তৈরি হয়েছিল ইমরান খানের আমলেই। সাইবার বাহিনী তৈরিতে মদত দিয়েছিল তুরস্ক। এই কথা সম্প্রতি জানিয়েছেন কুখ্যাত মন্ত্রী সোয়লু।

Web Desk - ANB | Published : Oct 27, 2022 5:16 AM IST / Updated: Oct 27 2022, 11:43 AM IST

পাকিস্তানকে সাইবার-বাহিনী গঠন করার বিষয়ে গোপনে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে তুরস্ক। নার্ডিক মনিটর নামের একটি সংস্থা জানতে পেরেছে, তুরস্ক গোপনে পাকিস্তানের জনমত গঠন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলমানদের মতামতকে প্রভাবিক করেত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্ ও ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পাশাপাশি দুই প্রতিপক্ষ দেশের তথ্য জানার জন্য একটি সাইবার সেনাবাহিনী গঠন করছে। এই সেমাবাহিনী পাকিস্তানের শাসকদের বিরুদ্ধে জনমতকেও দুর্বল করে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। 

২০১৮ স্লের ১৭ ডসেম্বর তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলোমন সোয়লু ও পাকিস্তানের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী শেহরিয়া খান আফ্রিদির মধ্যে ব্যক্তিগত আলোচনার সময় এই ইউনিট প্রষ্ঠিতার প্রস্তাবটি নিয়ে প্রথম আলোচনা হয়েছিল। ইসলামাবাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়লের বেশিরভাগ কর্মীদের কাছে বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল। ইমরান খান সেই সময় দেশের প্রধানমমন্ত্রী ছিলেন। তিনিও এই বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত ছিলেন ও সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন। 

২০২২ সালের ১৩ অক্টোবর কাহরামানমারাসের একটি স্থানীয় টিভি স্টেশনের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারের সময় সোয়লু এই গোপন অপারেশনের কথা প্রথম প্রকাশ করেন। তিনি বলেছিলেন তুরস্ক একটি দেশে সাইবার সেনাবাহিনী গঠনে সাহায্য করছে। কিন্তু সেই সময়ও তিনি পাকিস্তানের নাম উচ্চারণ করেননি। তবে সম্প্রতি তিনি বলেছেন, পাকিস্তান সফরের সময় দেশের এক মন্ত্রী তাঁরে একটি বন্ধ করে নিয়ে যান। আর সেখামেই সাইবার  ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সাহায্যের আবেদন জানান পাক মন্ত্রী। তিনি দাবি করেছিলেন পাক - মন্ত্রী আফ্রিদি তাঁকে বলেছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে পাকিস্তান সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ধারনা তৈরির চেষ্টা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পাকিস্তান তুরস্কের সাহায্য চেয়েছি। কিন্তু দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় এই বিষয়টি পাকিস্তান ভুলেও উত্থাপন করেনি। তিনি আরও জানিয়েছিলেন পাকিস্তান গোটা বিষয়টি গোপন রাখতে চেয়েছিল। 

সোয়লু জানিয়েছেন, তুরস্ক এই অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। নিরাপত্তা জেনারেল ডিরেক্টর এর বিভিন্ন বিভাগ থেকে পাঁচ জন পুলিশ কর্তাকে পাকিস্তান পাঠান হয়েছিল। সেই দলটি কয়েক মাস ধরে পারিস্তামে কাজ করেছে। প্রায় ৬ হাজার পাকিস্তানি পুলিশ কর্তাকে তুরস্কে এনে একাধিকবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। 


সোয়লু তুরস্কের কোনও সাধারণ মন্ত্রী নন। তিনি তাঁর পূর্বসুরিদের থেকে অনেকটাই আলাদা। সোয়লু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানর হয়ে সাইবাস্পেসে ট্রেল ও বট আর্মি চালানোর জন্য কুখ্যাত। তিনি ২০১৬ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার আগে এই ধরনের গোপন অধিযানে একাধিক প্রকল্পে কাজ করেছিলেন। তিনি ২০১৪ সালে এরদোগানের ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির  ডেপুটি চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই সময় তিনি গবেষণা ও  উন্নয়ন নিয়ে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্যাম্পেইন চালিয়েছিলেন। তিনি টুইটারে সমাজের বিশিষ্ট ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের রাজনৈতিক আক্রমণ করতে একটি দলও গঠন করেছিলেন। যা রীতিমত প্রভাব ফেলেছিল তুরস্কের রাজনীতিতে। সেই সময় তিনি ৬ হাজার শক্তিশালী ট্রল সেনাবাহীনিকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। 

আরও পড়ুন...

সলমন রুশদির একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন, অকেজো একটি হাতও- জানিয়েছে এজেন্ট
ঘূর্ণিঝড় সিতরাং বাংলাদেশে প্রাণ কাড়ল ১৬ জনের, বৃষ্টিতে সর্বনাশ হচ্ছে চাষের
ঋষি সুনক কি এবার ভারকে ফিরিয়ে দেবেন কোহিনূর হীরা? জল্পনায় শুরু নেটনাগরিকদের মধ্যে

Share this article
click me!