সংক্ষিপ্ত


ঋষি সুনকরকে নিয়ে মিমের ছড়াছড়ি সোশ্যাল মিডিয়ায়। নতুন করে আলোচনায় ফিরে এল চার্চিল-কোহিনূর হীরা। দেখুন মজাদার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলি। 
 

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তিনি আবার ভারতে জামাইও বটে! যাইহোক তাঁর ব্রিটিশ মসনদে বসায় রীতিমত আপ্লুত নেটিজেনরা। অনেকেই তাঁকে আগামীর জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু এরই মধ্যে তাঁকে নিয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক মিম। চার্চিল থেকে আশিস নেহেরা সবাই এখন সুনকের কারণে উপস্থিত ইন্টারনেটে। তবে সব থেকে বেশি উপস্থিতি কিন্তু কোহিনুরের। 

 

ঋষি সুনকের সমর্থনে কনজারভেটিভ পার্টির ১৪০ জন  রয়েছে। তিনি পিছনে ফেলে দিয়েছেন পেনি মর্ডান্টকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে ঋষির জয় নিশ্চিত জেনেই লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

 

যাইহোক - ঋষি সুনক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়া জোর চর্চায় উঠে এসেছে কহিনূর হীরে। যা একটি সময় ভারতের সম্পত্তি ছিল। এখন যার অধিকার ব্রিটিশদের হাতে। আর আলোচনা হচ্ছে প্রয়াত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে কীভাবে নেবেন। কারণ তিনি যে ভারতীয়দের অপছন্দ করতেন তা বরাবরই স্পষ্ট। কিন্তু সেই ভারতের জামাই ঋষির হাতেই রয়েছে ব্রিটিশ প্রশাসনের দায়িত্ব।  অনেই চার্চিলের পুরনো ছবি পোস্ট করে এই প্রশ্নটি করেছেন। কিন্তু চার্চিল এখন অতীত। দিন বদলেছে। বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজ। 


সুনকের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আলোচনায় উঠে এসেছে কোহিনূর। অনেকেই বলছেন ঋষি সুনাকের হাত ধরেই ১০৫.৬ ক্যারেটের কহিনূর হীরা ভারত ফিরত পেতে পারে। মোঘল সম্রাটদের সম্পত্তি ছিল। তারপর হাতবদল হয়ে পাঞ্জব কেশরী রণবীর সিং-এর হাতে যায়। কিন্তু ১৮৪৯ সালে ব্রিটিশরা পঞ্জাব দখল করার পরই এটি ব্রিটেনের রানীর সম্পত্তি হয়ে যায়। এটি ছিল রানী ভিক্টোরিয়ার বিশেষ পছন্দের। সুনাক এখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তাই নেটিজেনদের আশা তাঁর হাত ধরেই ভারতে আসবে কোহিনূর। অনেকে আবার এমন ছবিও পোস্ট করে বলেছেন ইতিমধ্যে বহুমূল্যবান হীরাটি ভারতের পাঠানোর বিষয়ে মোদীর সঙ্গে সুনাক ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেছেন। 

দেশের বাইরে থাকা সত্ত্বেও তিনি এখনও বেশ কয়েকটি হিন্দু রীতি মেনে চলেন ঋষি সুনাক। বেশ কিছু বাধা পেরিয়ে তিনি ব্রিটেনে রাজ করবেন। বরিস জনসন থেকে শুরু করে লিজ ট্রাস - ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য একাধিক পাহাড় প্রমাণ বাধা অতিক্রম  করতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু তিনি যে হাল ছাড়ার পাত্র নন- তা ইতিমধ্যেই প্রমান হয়ে গিয়েছে। তবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হলেও তাঁর মাথায় রয়েছে বেশ কয়েকটি বিতর্কের মুকুট। যা আগামী দিনে তাঁকে সমস্য়ায় ফেলতে পারে বলেও অনুমান বিশেষজ্ঞদের।