ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ জুলাই ডিজি খান জেলার হিল স্টেশন ফোর্ট মুনরোর একটি হোটেলে। এটি লাহোর থেকে প্রায় ৫০০ কিমি দূরে। নির্যাতিতা একজন ব্লগার ও টিকটকরা। তাঁর একটি ফেসবুক পেজও রয়েছে। ওই তরুণী তার সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধু মুজমিল সিপ্রা এবং আজান খোসার সাথে একটি ব্লগ শ্যুট করতে জায়গাটি দেখতে এসেছিলেন।
পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে ২১ বছর বয়সী এক আমেরিকান তরুণীকে দুই ব্যক্তি গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
১৭ জুলাই ফোর্ট মনরোর একটি হোটেলের ঘটনা
ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ জুলাই ডিজি খান জেলার হিল স্টেশন ফোর্ট মুনরোর একটি হোটেলে। এটি লাহোর থেকে প্রায় ৫০০ কিমি দূরে। নির্যাতিতা একজন ব্লগার ও টিকটকরা। তাঁর একটি ফেসবুক পেজও রয়েছে। ওই তরুণী তার সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধু মুজমিল সিপ্রা এবং আজান খোসার সাথে একটি ব্লগ শ্যুট করতে জায়গাটি দেখতে এসেছিলেন।
ডিজি খান জেলার ডেপুটি কমিশনার আনোয়ার বারায়ার বলেছেন যে আমেরিকান মেয়েটি তার সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধু মুজমাল সিপ্রার আমন্ত্রণে করাচি থেকে ফোর্ট মুনরোতে এসেছিলেন এবং রবিবার পঞ্জাবের রাজনপুর জেলায় তার বাড়িতেও গিয়েছিলেন। পুলিশ কর্মকর্তার মতে, ট্যুরিস্ট ভিসায় পাকিস্তানে আসা মেয়েটি গত সাত মাস ধরে দেশেই ছিল। দেশের ওই এলাকায় ঘুরে ঘুরে ব্লগ ও টিকটকের নানা ভিডিওয়োর জন্য ছবি তুলছিল সে। সঙ্গে বরাবরই ওই দুই অভিযুক্ত যুবক ছিল তার সঙ্গে।
এলাকা চিনিয়ে দেওয়া কাজ করত ওই দুই যুবক। এছাড়াও এই মার্কিন যুবতীকে তারা সবরকম সাহায্য করত বলেও খবর। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেই মূলত আলাপ এই দুই ব্যক্তির সঙ্গে ওই নির্যাতিতার। তবে বন্ধুত্বের মর্যাদা রাখতে পারল না অভিযুক্তরা।
নথিভুক্ত করা এফআইআরে বলা হয়েছে যে ওই নির্যাতিতা মার্কিন তরুণী রবিবার ফোর্ট মুনরোতে গিয়েছিলেন। মুজমিল এবং তার বন্ধু আজান খোসার সাথে একটি ব্লগ তৈরি করেছিলেন। এফআইআর-এ নির্যাতিতা অভিযোগ করেছেন যে "আমরা ফোর্ট মনরোর একটি হোটেলে ছিলাম। সেখানে তারা দুজনেই আমাকে গণধর্ষণ করেছিল এবং আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য ঘটনার একটি ভিডিও-ও করেছিল।"
এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
বর্ডার মিলিটারি পুলিশ ইতিমধ্যেই মুজমিলকে গ্রেপ্তার করেছে এবং পাকিস্তান পেনাল কোডের ৩৭৬ এবং ২৯২বি ধারায় নথিভুক্ত এফআইআর-এ উল্লেখিত অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশ মেয়েটির মেডিকেল লিগ্যাল টেস্টও করিয়েছে।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শাহবাজ ঘটনাটি যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। পঞ্জাব পুলিশ প্রধানকে ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি তদারকি করার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, অভিযুক্তদের আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে এবং নির্যাতিতাকে ন্যায়বিচার দেওয়া হবে।