পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ
এমনকি প্রাক্তন এক মন্ত্রী তাঁকে ধর্ষণে করেছেন বলেও অভিযোগ
পাকিস্তানের রাজনীতিবিদদের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছেন সিনথিয়া ডি রিচি
পাকিস্তানে গত ১০ বছর ধরে বসবাসকারী এই মার্কিন সুন্দরী আসলে কে
একের পর এক রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে বিস্ফারক মন্তব্য, মন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী কাউকে বাদ দিচ্ছেন না, পাকিস্তানের রাজনীতিবিদদের ঘুম হারাম করে দিয়েছেন সিনথিয়া ডি রিচি। তিনি আমেরিকার সাংবাদিক ও একজন ব্লগার। গত ২৮ মে সিনথিয়া অভিযোগ করেন, আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে যেসব নারীর সম্পর্ক ছিল, নিজের রক্ষীদের সেইসব নারীদের ধর্ষণ করার নির্দেশ দিতেন বেনজির ভুট্টো। সিনথিয়া এক দশকের বেশি সময় পাকিস্তানে বাস করছেন।
দু’দিন আগে সিনথিয়া রিচি অভিযোগ করেন প্রাক্তন মন্ত্রী রেহমান মালিক তাঁকে ধর্ষণ করেছেন এবং প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি ও আরেক মন্ত্রী তাঁর শ্লীলতাহানি করেছেন। করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ নিয়ে নাকাল পাকিস্তান এরপরও প্রশ্ন তুলেছেন, কে এই সিন্থিয়া রিচি?
তার ফেসবুক পেজে লেখা রয়েছে তিনি লুইজিয়ানার বাসিন্দা, লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে তার মাস্টার্স ডিগ্রি ও হাউস্টন স্কুল অফ ল, পেপারডাইন ইউনিভার্সিটি ও জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি থেকে মাস কমিউনিকেশন, ক্রিমিনাল জাস্টিস, কনফ্লিক্ট রেজলিউশন, ক্লিনিকাল অ্যান্ড বিহেভিয়ারাল সাইকোলজি ও স্ট্র্যাটেজিক পাবলিক রিলেশনে স্নাতক স্তরের ট্রেনিং রয়েছে। তাঁর বায়োডেটায় বলা হয়েছে তিনি ফিল্মমেকিং সংস্থা ডিফারেন্ট লেনস প্রোডাকশনের সঙ্গে যুক্ত। এই সংস্থা ফেসবুক পেজে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সোয়াট উপত্যকার ছোট ভিডিও রয়েছে।
তবে তিনি গত দশ বছর ধরে বলে আসছেন যে তিনি তথ্যচিত্র বানাচ্ছেন, কিন্তু তিনি তা এখনও বানিয়ে উঠতে পারেননি। পাকিস্তানি ম্যাগাজিন থেক্সপাটে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিচি বলেছিলেন, ২০১০ সালে সে দেশে বন্যার সময় থেকে তিনি পাকিস্তান যাচ্ছেন। তিনি বলেছিলেন, তার যাতায়াতের খরচ জোগান পাকিস্তানি আমেরিকানরা।
তিনি এও বলেন, পাকিস্তানিরা তাঁকে বলেছে তাঁর মতো মানুষ তাঁদের প্রয়োজন যাতে মানুষ জানতে পারে পাকিস্তানীরা কেমন, তাদের সংস্কৃতি কী রকম… যখন লোকে তাঁকে জিজ্ঞাসা করে তিনি কেন পাকিস্তানকে বেছে নিলেন, তখন তিনি জানান, তিনি পাকিস্তানকে বাছেন নি, পাকিস্তানই তাঁকে বেছে নিয়েছে।
তবে পাকিস্তানের সোশাল মিডিয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, কীভাবে তিনি বছরের পর বছর পাকিস্তানে থাকার ভিসা পান, এবং সেই সব জায়গায় যাওয়ার অধিকার পেয়ে যান যেখানকার ক্লিয়ারেন্স দেয় পাকিস্তান শাসনকারী সামরিক প্রতিষ্ঠান।
তার ফেসবুকে দেখা যায় তিনি কাশ্মীর নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে লবিইংয়ে সক্রিয়। কেউ কেউ মনে করেন তিনি সিয়ার চর, কেউ মনে করেন, তিনি পাক মিলিটারির হয়ে কাজ করছেন এবং এ ধরণের টুইট অসামরিক রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে পিপিপি-র বিরুদ্ধে।