'নতুন শাড়ি, লিপবাম আর কাজল! ষষ্ঠী থেকে দশমি জমে যাবে', স্বস্তিকার পুজো শপিং-এর হাল হকিককত

পুজোর ফ্যাশনে কার বেশি দখল- নারী, না কি পুরুষের! দুই দলই আমার বলে চিৎকার করে উঠবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু, যদি দেখা যায় পুজো ফ্যাশনের আড়ম্বর বা পোশাক বৈচিত্র তাহলে নারীরা কয়েক যোজন এগিয়ে। বিশেষ করে পুজোর ফ্যাশনে মেতে ওঠার চেষ্টা তাঁদের পুজোর কয়েক মাস আগে থেকেই প্রস্তুতিটা শুরু হয়ে যায়। পুজো ফ্যাশনে এশিয়ানেট নিউজ হাজির হয়েছিল অভিনেত্রী স্বস্তিকার কাছে। অভিনেত্রীর সাফ জবাব,  তিন-চার জায়গা না ঘুরে পুজো শপিং হয়? নিজের হাতে মেটিরিয়াল দেখব। রং বাছব। দাম করব। তবে না শপিং! আর কি বললেন তিনি, পড়ুন এই প্রতিবেদন। 

Web Desk - ANB | Published : Sep 23, 2022 2:36 AM IST / Updated: Sep 23 2022, 08:21 AM IST

স্বস্তিকা দত্ত, কলকাতা-- এ বছর পুজোর আগে আমার যেন নাভিশ্বাস দশা। নতুন কাজ, প্রচার, পুজোর ফটো শ্যুট। সব মিলিয়ে নাওয়া-খাওয়ার সময় পাচ্ছি না! এ দিকে হুড়মুড়িয়ে পুজো প্রায় দোড়গোড়ায়। বিশ্বাস করবেন? কিচ্ছু কেনা হয়নি। পুজোতেও সম্ভবত এ বার কাজেই ব্যস্ত থাকতে হবে। ফলে, আলাদা করে সাজার সময়টুকুও পাব না। তা ছাড়া, সারা বছর এত দৌড়ে বেড়াই যে পুজো এলেই মনে হয়, একটু হাত-পা ছড়িয়ে বিশ্রাম নিই। 

ছোটবেলার পুজোর আগে বরং কেনাকাটা নিয়ে উন্মাদনা ছিল। ক্রমে তাতে ভাটা পড়েছে। পেশার খাতিরে সারা বছরই কেনাকাটা হয় বলে। গত দু’বছর করোনা-কারণে সেই উত্তেজনা আরও কম। এ বছর তাই নিজের জন্য এখনও কিচ্ছু কিনে উঠতে পারিনি। কাজের কারণেই কয়েকটি শাড়ি এখনও নতুন অবস্থায় কাবার্ড-বন্দি। হয়তো এ বারের পুজো ও গুলো দিয়েই সারতে হবে। আর এমনিতেও পুজোর দিনগুলোয় কোথাও গেলে শাড়ি পরারই চেষ্টা করি। অন্য সময়ে ছেঁড়া জিন্স আর টপেই দিব্য কাজ হয়ে যায়। 

তবে হাজার ঝক্কির মধ্যেই মা-বাবার জন্য পুজো উপহার কিনে ফেলেছি। যদিও আমাদের বাড়িতে দীপাবলির ধুমধাম বেশি। তা বলে পুজোয় মা-বাবাকে নতুন জামা-কাপড় দেব না, সেটাও অসম্ভব। তাই মায়ের জন্য কয়েকটি শাড়ি আর বাবার জন্য ট্রাউজার্স, শার্ট কিনেছি নিজে পছন্দ করে। হ্যাঁ, আমি নিজে দোকান ঘুরে এখনও কেনাকাটা সারি। অনলাইনে জিনিস কেনা এক্কেবারে নাপসন্দ। নিজে হাতে ধরে পোশাকের মেটিরিয়াল বুঝব। দরদাম করব। রং বাছব। তবে না শপিং হল! অনেকেই এই ফাঁকে প্রশ্ন ছুড়েছেন, শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্য কী কিনলাম? তাঁদের বলি, আমাদের উপহার দেওয়ানেওয়ায় কোনও উপলক্ষ্য লাগে না। যখন ইচ্ছে তখনই আমরা একে অন্যকে কিছু না কিছু দিচ্ছি। তাই পুজো বলে আলাদা করে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। 

আর কিনেছি ঘর সাজানোর উপকরণ। বিছানার চাদর, বালিশের ওয়াড়, পর্দা, কার্পেট— পুজোয় বাড়ি সাজাতে যা যা আপনারা কেনেন আর কি। ছুটি মিললে নিজের হাতে ঘরদোর ঝাড়পোঁছও করছি। এ বছর আমার কালার প্যালেটে সাদা রঙের জোয়ার। নতুন পোশাক যদি কিনিই এবং পরিই ইচ্ছে আছে সাদা রঙ তাতে থাকবে। এ বছর শোভন সম্ভবত দেশের বাইরে থাকবে, অনুষ্ঠান নিয়ে। আমিও হয়ত ঘরবন্দিই রাখব নিজেকে। লিপস্টিক, শ্যাডো, নেলপলিশের রংমিলন্তিতে কোনও কালেই নেই। চোখের পাতায় কাজলের টান আর ঠোঁটে লিপ বাম। শাড়ির সঙ্গে মানানসই রুপোর গয়না। আমার পুজো এ ভাবেই বয়ে যায় ষষ্ঠী থেকে দশমি।
অনুলিখন- উপালি মুখোপাধ্যায়, সাক্ষাৎকার সংগ্রাহক প্রতিনিধি- উপালি মুখোপাধ্যায়  
আরও পড়ুন-
  
হাই হিলেও পড়বে না ফোস্কা, পুজোর সময় হিল জুতো পরতে মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস 
বারবার উঠে যাতে হাতের দামি নেলপলিশ? এই সহজ টিপসগুলো মাথায় রাখলেই কেল্লা ফতে 
দুর্গাপুজোয় ইউনিক হেয়ার স্টাইলে নজর কাড়তে চান, চটজলদি দেখে নিন স্টাইলিং সাজসজ্জা

Read more Articles on
Share this article
click me!