সহজ কথায় পঞ্চাশ পেরনোর পরেও যৌন জীবনের সুখ অনুভব করা যায়। এমনকী যৌবনের চেয়েও বেশি আনন্দদায়ক হয় বেশি বয়সের মিলন। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
সঠিক যৌন জীবনের (Sex life) অভাবে সহজেই আজকাল হতাশা গ্রাস করে যুবক-যুবতীদের মধ্যে। বিশেষজ্ঞদের মতে যৌনতা সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞানের অভাব, অজ্ঞানতাই সুন্দর যৌনজীবনের প্রতি মূল বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এদিকে সুন্দর যৌন জীবন যে শুধুমাত্র যৌবনকালেই কাটানো যায় এমনটা নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বার্ধক্যের দোরগোড়াতে পৌঁছেও যৌনতার পূর্ণ স্বাদ নিতে পারেন যে কোনও ব্যক্তি। এদিকে মেনোপজ, যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়া(Decreased sexual desire), লিবিডো কমে যাওয়ার মতো বিষয়গুলি জীবনের বয়সকালে ধাপে উদ্বেগ বাড়ায় অনেকের। যার জেরে কমে যায় রতিসুখের আত্মবিশ্বাসও। কিন্তু এই সমস্যাগুলির মোতাবিলা করেও সুন্দর যৌন জীবন কাটানো যায় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
সহজ কথায় পঞ্চাশ পেরনোর পরেও যৌন জীবনের সুখ অনুভব করা যায়। এমনকী যৌবনের চেয়েও বেশি আনন্দদায়ক হয় বেশি বয়সের মিলন। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ক্ষেত্রে শুধু প্রয়োজন যথাযথ আত্মবিশ্বাসের। গবেষণায় উঠে এসেছে, বয়স্ক দম্পতিরা মিলনের পর কম বয়সিদের চেয়ে বেশি তৃপ্তি পান। কারণ, তারা বেশ ধীরগতিতে যৌনক্রীড়ায় লিপ্ত হন। তবে এই সময়টায় আনন্দ পেতে চাইলে নিজের মানসিকতাকে তিরিশ বছরের পর থেকেই পরিবর্তন করতে হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। যৌনতা নিয়ে মানসিকতা বদলানোর পাশাপাশি রোজ এক্সারসাইজ করতে হবে বলেও মত তাদের। এতে শরীর সচল যেমন থাকবে তেমনই রক্ত সংবহন ভাল করবে। সতেজ থাকবে মনও। শরীরে রক্ত সংবহন ভাল হলে যৌনাঙ্গগুলিও সবলও সক্রিয় থাকে। তবে সংযম আনতে হবে মনের উপরেও। তাহলেই বেশি বয়সেও সঠিক যৌনসুখ পাওয়া সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা সাফ জানাচ্ছেন, বয়সের সীমারেখাকে মেনে নিয়েই যোগ দিতে হবে যৌন ক্রিয়ায়। সেই ক্ষেত্রে জেকে কম বয়সি হওয়ার চেষ্টা করে বিশেষ লাভ নেই। নিজেকে বা সঙ্গীকে আকর্ষনীয় দেখানোর চেষ্টা করেও কোনও লাভ নেই। উল্টে একে অপরের বয়সকে মেনে নিয়েই লিপ্ত হতে হবে যৌনক্রিয়ায়। বীর্যপাতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে অন্যান্য যৌনক্রিয়ার উপরে। জোর দিতে হবে মিলনের আগে ফোরপ্লের উপর। এভাবেই যৌনতাকে সবচেয়ে ভাল উপভোগ করা যায় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাতে মনের গ্লানি দূর করে নতুন ছন্দে উপভোগ করা যাবে জীবনকে।
আরও পড়ুন- ‘গ্রেফতার করলে দোষী হয় না, আদালতে প্রমান করতে হয়’, অভিষেক ইস্যুতে ফের সরব কুণাল