সংক্ষিপ্ত

“বিজেপি হার হজম করতে না পেরে প্রতিহিংসা করছে। বিজেপি নেতারা বলুন শুভেন্দুকে কেনও ডাকা হচ্ছে না।” তোপ কুণালের

কয়লা কাণ্ডে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলার রাজনীতি। এদিকে ইতিমধ্যেই ফের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Trinamool MP Abhishek Banerjee) তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি(Central Investigating Agency ED)। এবার তা নিয়েই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কুণাল বলেন, “অভিষেক ইডি-তে গিয়েছেন, হাজিরা দিয়েছেন। উনি বলে গিয়েছেন নিজের কথা। যখন ভোট শুরু হয়, তখন থেকেই কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে নোংরামি চলছে। তার এখন ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। এদিকে ভোটে বিজেপি হেরেছে। প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। সিবিআইয়ের এফআইআর-এ নাম থাকলেও শুভেন্দুর বেলায় তৎপরতা দেখা যায় না। এজেন্সি গুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণ করছে বিজেপি। এর প্রতিবাদ হবেই। সিবিআই কে চিঠি দিয়ে বলুক শুভেন্দু, আমার নাম আছে গ্রেফতার করুন। অভিষেক নিজে জানিয়ে দিয়েছেন। যারা বিজেপিতে গিয়েছেন। নারদায় নায় রয়েছে সারদায় নাম রয়েছে। বিজেপিতে গেলে ডাকা হবে না। বিজেপি হার হজম করতে না পেরে প্রতিহিংসা করছে বিজেপি। বিজেপি নেতারা বলুন শুভেন্দুকে কেনও ডাকা হচ্ছে না। সারদা কর্তা বলেছেন কেনও কাঁথিতে নিয়ে গিয়েছিলেন।”

এখানেই না থেমে কুণালে আরও বলতে শোনা যায়, “বিজেপিকে প্রতিহত করেছে তৃণমূল। ভোটের সময় বিজেপির যখন দাঁত নখ বের করেছিল তখন সিপিএম আর কংগ্রেস বিটিম সিটিম বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বিজেপি বিরোধী ভোট কেটে। অভিষেকের বিরুদ্ধে কিছু হওয়ার আগেই মিডিয়া ট্রায়াল হয়ে যাচ্ছে। কয়লা কেন্দ্রের, পাহারা দেয় কেন্দ্র। চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে কী প্রশ্ন অভিষেককে করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের সাফল্য। কিন্তু খবর কে দিচ্ছে। পুরোটাই ম্যালাইন করার জন্য করা হচ্ছে। গ্রেফতার করলে দোষী হয় না। আদালতে প্রমান করতে হয় সবটা। আগে সেটা করে দেখাক।” 

আরও পড়ুন-বড় সাফল্যের মুখ দেখছে কাশ্মীর ফাইলস, শীঘ্রই বিবেকের নতুন ছবিতে দেখা যেতে পারে কঙ্গনাকে

আরও পড়ুন- ফের উত্তপ্ত জগদ্দল, সাংসদের বাড়ির পাশেই ফের বোমাবাজির অভিযোগ

আরও পড়ুন- স্কুল দেওয়া হবে গীতার পাঠ, দেশজোড়া বিতর্কের মধ্যে কী বলছে বিরোধীরা

অন্যদিকে রাজ্য সরকার স্কুলে নীল সাদা পোশাক চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে৷ তারপরই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “এটা অপপ্রচার। গোটা বিষয়টা শিক্ষা মন্ত্রী বলবেন। সরকার সবই জায়গায় সমান করার কথা ভাবা হয়েছে। বিশ্ব বাংলার সাথে বেসরকারি কিছু নেই। আর পোশাক বানানোর ক্ষেত্রেও কাজে লাগবে। নীল সাদার সাথে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিশ্বে বাংলাকে তুলে ধরাই উদ্দেশ্য ছিলো। সেখানে অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।” কুনালের এই মন্তব্যের পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি বিরোধীদের।