প্রেমিকের (Boyfriend) সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার পর অনেকে মনেই নানারকম দ্বন্দ্ব কাজ করে। সম্পর্কটা ভালোবাসা নাকি শুধুই শারীরিক চাহিদা, তা বোঝার চেষ্টা করতে থাকেন। এক্ষেত্রে রইল টিপস। সহজ কয়টি জিনিস দেখলেই দূর হবে এই সংশয়।
রিয়া আর আর্যর প্রেম ৪ বছরের। এখন দুজনেই চাকরি করে, দুজনের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া। দুজনের পেশা আলাদা। তবে, যতই ব্যস্ত থাকুক না কেন সময় বের করে ঠিক দেখা করে। আর্য ফ্ল্যাটে একাই থাকে। ফলে, দেখা সাক্ষাত সেখানেই হয়। শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া নিয়ে তাদের তেমন সংস্কারের দ্বন্দ্ব নেই। তাই প্রায়ই শারীরিক সম্পর্কে (Sex) লিপ্ত হয়। তবে, রিয়ার মনে একটা সংশয় কাজ করে আজকাল। সম্পর্কটা ভালোবাসা নাকি শুধুই শারীরিক চাহিদা, সেটা সে বুঝে উঠতে পারে না। প্রেমিকের (Boyfriend) সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার পর অনেকে মনেই নানারকম দ্বন্দ্ব কাজ করে। সম্পর্কটা ভালোবাসা নাকি শুধুই শারীরিক চাহিদা, তা বোঝার চেষ্টা করতে থাকেন। এক্ষেত্রে রইল টিপস। সহজ কয়টি জিনিস দেখলেই দূর হবে এই সংশয়।
সম্মান
বর্তমান প্রজন্মের কাছে শারীরিক সম্পর্ক খুবই সাধারণ বিষয়। অনেকেই বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছেন। তবে, সকলের কাছেই বিষয়টি গোপন থাকা প্রয়োজন। খবর নিয়ে দেখুন, আপনার প্রেমিক আপনাদের শারীরিক সম্পর্কের কথা কাউকে বলছে কি না। সে আপনার সম্মান (Respect) রক্ষার্থে যদি তা গোপন রাখেন বুঝবেন সে আপনাকে সত্যিই ভালোবাসে। আর যদি নিজের অভিজ্ঞতার কথা বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করে, তাহলে আপনার সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে।
কথোপকথন
আপনাদের দেখা হলে কী কী কথোপকথন হয় তা ভেবে দেখুন। প্রেমিক কি সারাক্ষণ শারীরিক সম্পর্কের কথা বলে? কোন কোন ভঙ্গিমায় শারীরিক চাহিদা (Sex) পূরণ করা সম্ভব সে কথা বলে? দেখা হওয়া মাত্রই কি সে সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকে? সেক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার দরকার। এমন হলে বুঝতে হবে ভালোবাসার থেকে শারীরিক চাহিদার পাল্লা ভারি।
আই কনট্যাক্ট
শারীরিক সম্পর্কের শেষে প্রেমিকের আচরণ খেয়াল করে দেখুন। সে যদি আপনার দিকে তাকাতে স্বচ্ছন্দ্য বোধ না করে, বুঝতে হবে তার মনে দ্বন্দ্ব আছে। আই কনট্যাক্ট (Eye Contact) না করলে বুঝবেন সে অপরাধ বোধে ভুগছে। সেক্ষেত্রে আলোচনা করুন। খোলাখুলি কথা বলুন। মনের কথা খুলে বলুন। দেখবেন সব সমস্যা দূর হবে।
অনুভূতি
তার অনুভূতি (Feelings) বোঝার চেষ্টা করুন। সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার সময় সে কী আপনাকে জোড় করে নাকি আপনার চাহিদাকেও গুরুত্ব দেয়, সেটা ভেবে দেখুন। যদি দেখেন, তার কাছে আপনার আবেগের গুরুত্ব আছে, তাহলে বুঝবেন শুঘু শারীরিক চাহিদা নয়, আপনাদের মধ্যে এখনও ভালোবাসা বর্তমান।