বিয়ে করলে অধিকাংশ ছেলেই কিন্তু সন্তানের পথে হাঁটতে নারাজ। ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত থেকেই তাঁরা বিয়ের পর সন্তান না নেওয়ার ভাবনা চিন্তা করছেন।
অদ্ভুত তথ্য প্রকাশ সমীক্ষায় (Special Report) । গবেষকরা (Researchers) বলছেন আজকাল বেশিরভাগ ভারতীয় ছেলেরই (Indian Man) বিয়েতে (Wedding) অনীহা। লিভ ইন (Live In) করলেও বিয়ে করে পাকাপাকি সম্পর্কে জড়াতে চাইছেন না অনেকেই। শুধু তাই নয়, বেশিরভাগ ছেলেই কিন্তু কমিটমেন্টে যেতে চাইছে না। ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে এই মানসিকতা ক্রমশ বাড়ছে।
সমীক্ষা বলছে ভারতীয় পুরুষরা মনে করছেন এত তাড়াতাড়ি সংসারের মায়াজালে না জড়ালেও চলবে। নিজের মতো করে সেভিংস, কাজ, গাড়ি, ঘুরতে যাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো এসবেই বেশি আগ্রহী। বরং একসঙ্গে থাকার জন্য অনেক সময় পড়ে রয়েছে।
আগে যেখানে ২৭ পেরোলেই মা-বাবারা ছেলেদের জোর করে ছাদনাতলায় নিয়ে যেতে চাইতেন সেখানে এখন ছেলেদের জন্য পাত্রী খোঁজা শুরু হচ্ছে ৩০ পেরোলে। এছাড়াও অনেক মেয়েরই দাবি বিভিন্ন ম্যাট্রিমনি সাইটে যে সমস্ত ছেলেরা প্রোফাইল খুলে রেখেছেন তাঁদের এক একজনের এক একরকম দাবি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন আজকাল সব রকম খরচা যেভাবে বেড়েছে তার নিরিখেই ছেলেরা বিয়ে থেকে পিছিয়ে আসছেন। এমন অনেকেই আছেন যাঁরা মাসে ১০ হাজারের বেশি উপার্জন নয়। সেক্ষেত্রে নিজের জীবন চালানোই খুব মুশকিল। মাসে অন্তত ৬০ হাজার টাকা বেতন না পেলে ছেলেরা বিয়েতে বসতে চাইছে না।
২০০৭-সালেও যেখানে অবিবাহিত ছেলেদের সংখ্যা ছিল ৪৫ শতাংশ, ২০১৯ সালে করা সমীক্ষায় তা দাঁড়িয়েছে ৫৩ শতাংশ। এদের মধ্যে অধিকাংশই উচ্চশিক্ষিত। বলাই বাহুল্য ২০২১ সালে সেই সংখ্যা আরও বেড়েছে।
একা থাকার যে খরচা, বিয়ে করলে যে সেই খরচায় রাশ টানতে হয় একথা সকলেই জানেন। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতের কথা ভেবে সঞ্চয় করাও প্রয়োজন। এবার ছেলের একার ভরসায় যদি সংসার থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে অনেকটা বেশি চাপ পড়ে যায়। তবে ছেলে-মেয়ে উভয়েই রোজগেরে হলে তাতে খানিকটা শান্তি। একসঙ্গে সংসারের খরচা ভাগ করে নেওয়া যায়।
সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে মাসে যাঁরা ৬০ হাজার টাকা বা তার বেশি আয় করেন এমন ছেলেদের প্রায় ৮০ শতাংশই গতানুগতিক বিয়ে, সংসার, সন্তানে ইচ্ছুক নয়। বিয়ে করলেও সন্তানের ভাবনা ভাবতে নারাজ। নিজেদের শখ, আহ্লাদ, ইচ্ছেপূরণের জন্যই ছেলেরা ৩০ বছরের আগে আজকাল বিয়ের কথা ভাবতেই চাইছেন না। বিভিন্ন আর্থিক চাপ, লোন এসবের বোঝা খানিক আলগা করে তবেই ৩২ বছর বয়সে এসে তাঁরা বিয়ের কথা ভাবছেন। তার আগে কিছুতেই নয়।
এছাড়াও বিয়ে করলে অধিকাংশ ছেলেই কিন্তু সন্তানের পথে হাঁটতে নারাজ। ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত থেকেই তাঁরা বিয়ের পর সন্তান না নেওয়ার ভাবনা চিন্তা করছেন।