লিপ কিস হোক বা ফ্রেঞ্চ, চুমুতে বদলায় ভালোবাসার ভাষা

  • অনেক না বলা কথা বলা যায় একটা চুমুর মাধ্যমে
  • সম্পর্ক অনুযায়ী বদলে যায় চুমুর ধরন
  • প্রতি বছর ৬ জুলাই বিশ্বজুড়ে পালিত হয় চুম্বন দিবস 
  • এক নয়, চুমুর অনেক ধরন রয়েছে

Asianet News Bangla | Published : Jul 6, 2021 11:50 AM IST

চুমু। ছোট্ট একটা শব্দ, কিন্তু তার মানে অনেক গভীর। অনেক না বলা কথা বলা যায় একটা চুমুর মাধ্যমে। কখনও একটা চুমুতে সব দূরত্ব ঘুচে যায়। বদলে যায় সম্পর্কের গভীরতা। তবে সম্পর্ক অনুযায়ী বদলে যায় চুমুর ধরন। প্রতি বছর ৬ জুলাই বিশ্বজুড়ে চুম্বন দিবস পালন করা হয়। তবে চুমু এক ধরনের নয়। অনেক ধরনের হয়ে থাকে। 

এক ঝলকে বিভিন্ন ধরনের চুমু---

গালে চুমু : এই চুমু যে কাউকে খাওয়া যেতে পারে। একজন আর একজনের গালে ঠোঁট স্পর্শ করে চুমু খায়। বাবা, মা, বন্ধু, ভাই, বোন, সন্তান যে কাউকে এই চুমু খাওয়া যেতে পারে।

হাতে চুমু : কারও হাত সামনের দিকে টেনে হাতের তালুর পিছনে চুমু খাওয়ার রেওয়াজ ইউরোপে বহু প্রাচীন। এর মাধ্যমে অপরের প্রতি সম্মান ও সৌজন্য প্রকাশ করা বোঝায়।

কপালে চুমু : কপালে চুমু খেয়ে ভালোবাসার গভীরতা এবং নির্ভরতা বোঝানো হয়ে থাকে। এটাকে সাধারণত স্টার্টার কিস-ও বলা হয়ে থাকে।

লিপ কিস : এই চুমুতে প্রেমিকার নিচের ঠোঁট নিজের দুই ঠোঁটের মধ্যে টেনে নেন প্রেমিক। ওইএকই কাজ করে থাকেন প্রেমিকাও। একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পায় এই চুম্বনের মধ্যে দিয়ে। 

ফ্রেঞ্চ কিস : এই চুমুতে ঠোঁটের কোনও গুরুত্ব সেভাবে নেই। এখানে একজনের জিহ্বা অপরজনের জিহ্বাকে স্পর্শ করে। এই চুম্বনের মধ্যে দিয়েও ভালোবাসা প্রকাশ পায়।

এস্কিমো কিস : এই চুমু এস্কিমোদের থেকে আমদানি করা। এই চুমুতে নাক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজনের নাক অপরজনের নাকের সঙ্গে ঘষা হয়। এই চুম্বনের মধ্যে দিয়ে স্নেহ প্রকাশ পায়।  

লিঙ্গারিং কিস : এই চুমুতে জিভের কোনও কাজ নেই। শুধু একজনের ঠোঁট অপরজনের ঠোঁটে আলতোভাবে ছোঁয়াতে হয়।


 
অ্যাঞ্জেল কিসিং : যখন কাউকে বিদায় জানাতে হয়, তখন তার প্রতি ভালবাসা বা স্নেহ প্রকাশ করতে তার চোখের পাতায় চুমু খাওয়া হয়। একেই অ্যাঞ্জেল কিস বলে। এই চুম্বনে স্নেহ প্রকাশ পায়। 

লিজার্ড কিসিং : এই চুম্বনে প্রেমিক বা প্রেমিকার মধ্যে যে কেউ অপরজনের মুখের ভিতর জিহ্বা প্রবেশ করান। 

লিভ আ মার্ক কিস : এই চুমু সাধারণত মেয়েরাই খেয়ে থাকেন। কারণ এই চুমু খাওয়ার আগে ভালো করে ঠোঁটে লিপস্টিক লাগাতে হয়। তারপর শরীরের যে অংশে চুমু খাওয়া হয় সেখানে ঠোঁটের ছাপ পড়ে যায়। একটা ছাপ পড়ে বলেই একে লিভ আ মার্ক কিস বলা হয়। 

মুভিং কিস: চুমু খেতে খেতে সঙ্গীকে ধরে যদি পিছনের দিকে ধাক্কা দেন অথবা দু'জনে গোল গোল ঘুরতে থাকেন তাহলে তাকে মুভিং কিস বলে। 
 

Share this article
click me!