বিয়ে হল একটি সামাজিক বন্ধন যাতে দুটি মানুষ পরস্পর পরস্পরের প্রতি দায়বদ্ধ থাকে। বৈশাখ মাস সাধারণত প্রচুর বিয়ের তারিখ থাকে। তবে বর্তমান পরিস্থিতির ফলে বহু বিয়ের তারিখ পিছিয়ে গিয়েছে। ফলে হাতে কিছুটা সময় পেয়েছেন নিজেকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত করার জন্য। বিয়ে একটি অত্যন্ত পবিত্র বন্ধন। মনে করা হয় দুটি মানুষের এই বন্ধন জন্ম জন্মান্তরের।
বিভিন্ন দেশে সংস্কৃতিভেদে বিবাহের সংজ্ঞার তারতম্য থাকলেও সাধারণ ভাবে বিবাহ এমন একটি রীতি যার মাধ্যমে দু'জন মানুষের মধ্যে সম্পর্ক ও সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে। উচ্চবর্ণীয় হিন্দু সমাজের বিবাহে প্রধানত দুইটি আচারগত বিভাগ লক্ষিত হয়। যথা, বৈদিক ও লৌকিক। লৌকিক আচারগুলি "স্ত্রী আচার" নামে পরিচিত। বিয়ে মানে গোটা একটা পরিবারের সঙ্গে আপনার নতুন সম্পর্ক তৈরি। তাই নতুন সম্পর্কগুলো তৈরি হওয়ার আগে মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করে নিন। নিজের বাবা-মা বদলে সম্পূর্ণ অপিরিচিত দুটি মানুষকে বাবা বা মা বলে ডাক শুরু করাটা ওতটাও সহজ নয়। এর জন্য নিজেকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত করে নিন।
আরও পড়ুন- প্রেমে সফল হতে চান, মেনে চলুন চাণক্যের সহজ নীতি
এই সময়কে কাজে লাগিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে জেনে নিন পরিবারের সদস্যদের খুঁটিনাটি। জেনে নিনি তাদের পছন্দ ও অপছন্দের তালিকাগুলি। প্রত্যেকটি পরিবারের ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম ও মূল্যবোধ থাকে, তাই নিজের নিয়ম চাপিয়ে না দিয়ে আগে তঁদের নিয়মে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার মানসিকতা রাখতে হবে। সব সময় মনে রাখতে হবে আপনি অন্যের মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিলে তবেই নিজে গুরুত্ব পাবেন।
নতুন ভাবে নতুন একটি পরিবারে সম্পর্ক গড়ে তোলার আগে মাথায় রাখুন, সকলের সঙ্গে ভালো রাখতে হবে সম্পর্ক। তবে, কোনও ভাবেই নিজেকে অসম্মান না করে। নতুন মানুষগুলোকে ভালোবাসবেন তবে নিজেরর সম্মান বজায় রেখে। নতুন পরিবারে আন্তরিক ব্যবহার বজায় রাখুন। নিজের বাবা-মায়ের পাশাপাশি শ্বশুর-শাশুড়িকেও গুরুত্ব দিন। একটা বিষয় মনে রাখবেন একসঙ্গে সকলকে খুশি করা সম্ভব নয়, তবে ভালো ব্যবহার বজায় রাখতে হবে। শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে প্রথমে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন। তারাও আপনাকে গুরুত্ব দেবেন।