রোজগার করলেও চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিন কাটছে। এই অবস্থায় জ্যোতিষশাস্ত্রে বেশ কিছু প্রতিকার রয়েছে, বিশ্বাস করা হয় নিয়মিত পালন করলে আর্থিক সংকট দূর হয়। পরিবারে সুখ আর সমৃদ্ধি আসে।
কিছু মানুষ রয়েছে যারা দিনরাত পরিশ্রম করছেন কিন্তু আর্থিক সংকট দূর হচ্ছে না। দিনরাত পরিশ্রম করেই দুটি টাকা পকেটে রাখতে পারছেন না। কোনও না কোনও ভাবে টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। রোজগার করলেও চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিন কাটছে। এই অবস্থায় জ্যোতিষশাস্ত্রে বেশ কিছু প্রতিকার রয়েছে, বিশ্বাস করা হয় নিয়মিত পালন করলে আর্থিক সংকট দূর হয়। পরিবারে সুখ আর সমৃদ্ধি আসে।
জ্যোতিষ অনুযায়ী প্রতিকারঃ
পূর্বদিকে মুখ করে খাবার খাওয়া উচিৎ। বিশ্বাস করা হয় এই কাজ করলে জীবন সুখ আর সমৃদ্ধিপূর্ণ হয়।
খাবার সময় জুতো বা চপ্পল পরবেন না। তাতে দেবী অন্নপূর্ণার অপমান করা হয়।
পুজোর ঘরে নিয়মিত ধূপ আর প্রদীপ জ্বালাবেন। তাতে ভগবানের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
ঘরে তুলসী গাছ থাকলে প্রতিদিন ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালুন।
পুজোর শুকনো ফুল ফেলে দেবেন না। জমিয়ে রেখে পুকুরে ভাসিয়ে দিন। নাহলে গাছের টবে সার তৈরির কাজে ব্যবহার করুন।
হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা হয় সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে কোনও দেব-দেবীর মূর্তির সামনে প্রমাণ করা উচিৎ। তাতে দেবতার আশীর্বাদ পাওয়া যায়। স্নান করেই পুজোর ঘরে যাবেন না। তাতে দেবী লক্ষ্মী বাড়ি ছেড়ে চলে যান। প্রথমে ইষ্টদেবতার নাম জপ করুন , তারপরই পুজোর ঘরে যান।
জ্যোতিষ অনুযায়ী বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোন অত্যান্ত শুভ। এই স্থান নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখুন। নিয়মিত গঙ্গাজল ছড়া দিন। এটি বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি বাজায় রাখতে সাহায্য করে।
হিন্দু শাস্ত্রে বিশ্বাস করা হয় বাড়িতে আর্থিক সংকটের মূল কারণই হল নেতিবাচক শক্তির প্রকোপ। তাই বাড়িতে প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী পুজো করুন। সকালে বাড়ির মূল প্রবেশদ্বার পরিষ্কার করে গঙ্গাজলের ছড়া দিন। বাড়িতে প্রতিদিন ধূপ আর ধূনো জ্বালুুন। ভুলেও প্রবেশ দ্বারের সামনে আয়না রাখবেন না। গাছ লাগাতে হলেও জ্যোতিষ মেনে গাছ লাগান। কয়েকটি গাছ নেতিবাচক শক্তিকে ডেকে আনে। যা অশুভ বলে মনে করা হয়।