ধনতেরাসে শুভক্ষণ মাত্র ২ ঘণ্টার- এই সময় এই জিনিসগুলি কিনুন, কিনবেন না এগুলি

পুরাণমতে বৃষরাশিতে মা লক্ষ্মীর অবস্থানে তাঁর পুজো করলে দেবীকে ঘরে রাখা যায়। তাই ধনতেরাস বা ধনত্রয়োদশী অত্যান্ত শুভ। প্রাচীন বিশ্বস অনুযায়ী ধন্বন্তবীকে ভগবান অবতার বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় এই দিনে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার জনক ধন্বন্তরী সমুদ্র মন্থন থেকে অমৃতের পাত্র নিয়ে এসেছিলেন। তাই জন্য এই দিনটি হিন্দুদের কাছে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধন্বত্বরীর হাতে যেতেহু অমৃতের পাত্র ছিল - সেই কাথা স্মরণ করে এই দিনটিতে অনেকেই বাসন কেনাকে শুভবলে মনে করেন। পাশাপাশি ধনতেরাস থেকেই শুরু হয়ে যায় দীপাবলীর শুভ অনুষ্ঠান।

প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী ধনতেরাসে বাড়িতে নতুন জিনিস আনতে হয়। এই দিন সোনা বা রূপোর মত দামী ধাতু অনেকেই কেনেন। অনেকে পিতল বা কাঁসার জিনিস কেনেন।

ধনতেরাসের দিনে তামা বা পিতলের পাত্র কেনাকে অনেকেই শুভ বলে মনে করেন। এই দিন অনেকেই আবার রুপোর চামচ কেনেন।

এই দিন ধনে আর ঝাড়ু কেনেন অনেকেই। ঝাড়ু মা লক্ষ্মীর প্রতীক বলে মনে করা হয় হিন্দুশাস্ত্রে।

ধনতেরাসের দিন যে কোনও একটি মূর্তি কিনতে পারেন। প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী মাটির মূর্তি পুজো করলে বা বাড়িতে রাখলে ধনসম্পদ বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে সুখ আর সমৃদ্ধ বৃদ্ধি পায়।

ধনতেরাসের দিনে অনেকেই লক্ষ্মী গণেশের মূর্তি কেনেন। অনেকে আবার কুবের মূর্তি কিনেন। লক্ষ্মীর প্রতীক - কুবের যন্ত্র বা শ্রীযন্ত্রও বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেন। মনে করা হয় এতে অর্থের অভাব হয় না।

প্রাচীন বিশ্বাস দেবী লক্ষ্মী গরু খুব পছন্দ করেন। তাই, ধনতেরাসের দিন, একজনকে অবশ্যই ৫টি হলুদ কড়ি কিনে দেবী লক্ষ্মীর পায়ে নিবেদন করতে হবে। এর মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন করবেন এবং আপনার কর্মজীবনের সঙ্গে সঙ্গে আপনার ব্যবসাও বাড়বে।

ধনতেরাসের দিনে বাজার থেকে অবশ্যই একটু নুন করতে পারেন। তাতে পরিবারের সদস্যদের মধ্য়ে কোনও দিনই আর্থিক দুর্ভোগ হয় না। লবণ বাস্তু দোষ কাটাতে পারে। রাহুল প্রভাবয়ও দূর হয়।

ধনতেরাসে কালো বা গাড় রঙের কোনও জিনিস কিনবেন না। সাদা , লাল বা হলুদ রঙের জিনিস কিনতে পারেন। এগুলি শুভ বলে মনে করা হয়।

ধনতেরাসে কাঁচ বা সিরামিক বা অ্যালুমিনিয়াম বা লোহার কোনও জিনিস কিনবেন না। এগুলি অশুভ বলে মনে করা হয়। ধারানো কোনও জিনিস কিনবেন না। কিনবেন ন প্ল্যাস্টিকের জিনিসও।

ধনতেরাসে কোনও কৃত্রিম জিনিস কিনবেন না। এগুলি অশুভ বলে মনে করা হয়।