পশ্চিম বর্ধমানের জামুরিয়ার তিলকা মাঝি আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ওরফে 'রাস্তার মাস্টার’ দ্বীপনারায়ণ নায়েক-এর সেই পাঠশালা দুর্গাপুজোর প্রধান আকর্ষণ।
বেলেঘাটা সরকার বাজার মিলন সংঘের থিমে দেখা মিলবে 'রাস্তার মাষ্টার'-এর। বেলেঘাটা সরকার বাজার মিলন সংঘের ৭৮ তম বর্ষ। বেলেঘাটার মিলন সংঘ পরিণত হল এক টুকরো জামুরিয়ার আদিবাসী পাড়ায়। আদিবাসী মানুষগুলোকে অন্ধকার থেকে যিঁনি শিক্ষার আলোয় ফেরানোর চেষ্টা করছেন, সেই 'রাস্তার মাস্টার'- পুজোর থিমের বানিয়ে মাস্টারমশাই-এর এই কর্মকাণ্ডকে সম্মান জানিয়েছেন। রাস্তার মাস্টার’ দ্বীপনারায়ণ নায়েক-এর সেই পাঠশালা ফুটিয়ে তুলেছে বেলেঘাটা সরকার বাজার মিলন সংঘ। পশ্চিম বর্ধমানের জামুরিয়ার তিলকা মাঝি আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ওরফে 'রাস্তার মাস্টার’ দ্বীপনারায়ণ নায়েক-এর সেই পাঠশালা দুর্গাপুজোর প্রধান আকর্ষণ।
পশ্চিম বর্ধমানের জামুরিয়া এলাকা যেখানে শিক্ষা তো দূর দুবেলা দুমোঠে অন্ন জোগাতে হিমশিম খেয়ে হয় মানুষদের। এই অন্ধকারে আচ্ছন্ন মানুষগুলোর জীবনে শিক্ষার আলো জ্বালাতে মরিয়া দ্বীপনারায়ণ নায়েক। তিনি নিজের হাতে জামুরিয়ার আদিবাসী পাড়ায় বাড়ির দেওয়াগুলোকেই বানিয়ে ফেলেছেন স্কুলের ব্ল্যাকবোর্ড। স্কুলে যাওয়া যদি সমস্যা হয় তবে স্কুল চলে আসবে বাড়িতে। এই ভাবেই গোটা পাড়ার প্রতিটা বাড়ির গায়ে ফুটে উঠেছে ব্ল্যাকবোর্ড। এগিয়ে চলেছে মাস্টার দ্বীপনারায়ণ নায়েক-এর পাঠশালা। সেই থেকেই তিনি 'রাস্তার মাস্টার’। আর এই শিক্ষকের এই মরিয়া প্রয়াসকে আমাদের সেলাম।
দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে তাই এই মাস্টারের প্রয়াসকে তাঁর লড়াই-এর চেষ্টাকে কুর্ণিশ জানাতে বেলেঘাটা সরকার বাজার মিলন সংঘ এই বছররে থিম করেছে 'রাস্তার মাস্টার’। যাতে পুজোয় ঠাকুর দেখার পাশাপাশি এই কর্মকাণ্ডের কথা সকলে জানতে পারেন বা এই কাজে সাহায্য করতে সকলে এগিয়ে আসে এটাই এই পুজো কমিটির মূল লক্ষ্য। 'রাস্তার মাস্টার-এর এই পাঠশালা দেখতে হলে অবশ্যই আপনাদের আসতে হবে বেলেঘাটা সরকার বাজার মিলন সংঘে।