দুর্গাপুজো ২০২৩: আটটি বাড়িতে আটচালার দুর্গাপুজো, নিয়ম মেনে আজও দেবীদুর্গা পূজিত হন সাবর্ণ রায়চৌধুরী বাড়িতে

বর্তমানে থিম পুজোর প্রতিযোগীতায় এখনও বনেদি বাড়ির পুজো ধরে রেখেছে নিজেদের ঐতিহ্য। সাবর্ণ রায় চৌধুরী বাড়ির পুজো মোট ৮টি বাড়িতে পূজিত হয়।  এই বাড়ির পুজোর চালচিত্রে রয়েছে ছিন্নমস্তা, বগলা, মাতঙ্গী, কমলাকামিনী-সহ দশমহাবিদ্যা

 

deblina dey | Published : Oct 18, 2023 9:02 AM IST

দুর্গাপুজো ২০২৩: বর্তমানে থিম পুজোর প্রতিযোগীতায় এখনও বনেদি বাড়ির পুজো ধরে রেখেছে নিজেদের ঐতিহ্য। তাই কলকাতাবাসীর কাছে থিম ও আভিজাত্য দুই পুজোর সমাহারেই মেতে থাকেন সকলে। কলকাতার বনেদি বাড়ির পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল সাবর্ণ রায় চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজো। সাবর্ণ রায়চৌধুরী বাড়ির মা দুর্গা পূজিত হন বিভিন্ন রূপে। জমিদার লক্ষ্মীকান্ত মজুমদার, স্ত্রী ভগবতী দেবীর ইচ্ছেয় ১৬১০ সালে এই পুজোর সূচনা করেন।

এই বাড়ির পুজোর চালচিত্রে রয়েছে ছিন্নমস্তা, বগলা, মাতঙ্গী, কমলাকামিনী-সহ দশমহাবিদ্যা। আর এই দশমহাবিদ্যার সঙ্গে রয়েছেন রাধাকৃষ্ণ। সাবর্ণ রায় চৌধুরী বাড়ির পুজো মোট ৮টি বাড়িতে পূজিত হয়। লাল বা হালকা সোনালী রং-এর হয়ে থাকে প্রতিমার মুখ। অসুরের রং হয়ে থাকে সবুজ। বিদ্যাপতি রচিত দুর্গাভক্তিতরঙ্গিনী রীতি-নিয়ম মেনে ৮টি আলাদা আলাদা পুজো করা হয়।

আগে এই বাড়ির পুজোয় ১৩টি ছাগল ও ১ টি মোষ বলি হত। সাবর্ণ রায় চৌধুরী-র বাকি সমস্ত বাড়িগুলিতে আমিষ ভোগের আয়োজন করা হয়। কেবলমাত্র নিমতার বাড়িতে হয় সম্পূর্ণ নিরামিষ ভোগ। এই ৮টি পুজোর মধ্যে ৬টি পুজো হয় বরিশাতে। সেই পুজোগুলি হল যথাক্রমে প্রথমটি আটচালা বাড়ি পুজো, দ্বিতীয়টি বড় বাড়ির পুজো, তৃতীয়টি বেনাকি বাড়ি পুজো, চতুর্থটি মেজো বাড়ি পুজো, পঞ্চমটি কালীকিঙ্কর ভবন পুজো, ষষ্টটি মাঝের বাড়ি পুজো। সপ্তম পুজোটি হয় বিরাটি-তে।

বিরাটির এই পুজো বিরতি বাড়ির পুজো নামে পরিচিত। অষ্টম পুজটি হয় নিমতা-তে। নিমতা পাঠানপুর বাড়ির পুজো এই নামে জনপ্রিয়। দশমীর দিন ঘট বিসর্জনের পরেই প্রতিমার সামনেই করা হয় বিজয়া পর্ব, এরপরে বাবুঘাটে বিসর্জণ করা হয় প্রতিমার।

Read more Articles on
Share this article
click me!