বৈশাখ মাসের প্রথম দিন তাই গণেশের উপাসনা করলে সকল মনের আশা পূর্ণ হয়। তবে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে গণেশ পুজো করে সংসারে সুখ সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনতে পারবেন।
হিন্দু পুরাণ মতে, ভক্তদের মনবাঞ্ছা পূরণ করতেই শিব-পার্বতী মর্তে অবর্তীণ হয়েছিলেন। শুধুমাত্র দেশেই নয় দেশের বাইরেও এই দেবতা ততটাই জনপ্রিয়। সমস্ত নিয়ম মেনে এই ব্রত পালন করলে সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। বৈশাখ মাসের প্রথম দিন তাই গণেশের উপাসনা করলে সকল মনের আশা পূর্ণ হয়। তবে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে গণেশ পুজো করে সংসারে সুখ সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনতে পারবেন।
বছরের প্রথম এই দিন অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিন থেকেই যাবতীয় ব্যবসায়িক কাজকর্ম শুরু হয়। ব্যবসায়ীরা এই মাসে নতুন হালখাতা শুরু করেন। বাংলা বছরের প্রথম দিন পয়লা বৈশাখ। আর বছরের এই প্রথম দিনটি এপার ও ওপার বাংলায়, অসম ও ত্রিপুরা রাজ্যে "পয়লা বৈশাখ" নামে পরিচিত। এই দিনটি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় উৎসবের মধ্য দিয়ে পালিত হয়। নতুন হালখাতা শুরু উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা খদ্দেরদের মিষ্টি, উপহার ও বাংলা ক্যালেন্ডার বিতরণ করেন।
কলকাতার কালীঘাট মন্দির ও দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে এই দিন প্রচুর পূণ্যার্থী পূজা দেন। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা লক্ষ্মী-গণেশ ও হালখাতা পুজো করেন। তাই মনে করা হয় সংসারে বা ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে সার্বিক উন্নতির জন্য এই মাসে গণেশ পুজো করা অত্যন্ত শুভ। এদিনে হিন্দু সম্পদ্রায়ে সিদ্ধি, বিঘ্ননাশকারী, অর্থ জ্ঞানের দেবতা রূপে পূজিত হন গণেশ। মানসিক শক্তি, পরিবারে সুখ-শান্তি, উপার্জন বৃদ্ধির দেবতা এই গনপতি। হিন্দুশাস্ত্র মতে মনে করা হয়, যিনি প্রতিদিন গণেশের স্তোত্র পাঠ করেন, তাঁর সমস্ত বাধা বিপত্তি দূর করা হয়।