আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে অতৃপ্ত আত্মা? পরিবারের ওপর পড়তে পারে অশুভ শক্তির নজর, জেনে নিন কী করবেন

পৌরাণিক কাহিনী এবং ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, অকাল মৃত্যু বা যাদের ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায়, তাদের আত্মা অতৃপ্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায়। যাদের মৃত্যুর পরে তর্পণ দেওয়া হয় না, তাদের আত্মা রাগান্বিত বা দুঃখিত হয়ে অশুভ শক্তিতে পরিণত হয়। 
 

Parna Sengupta | Published : Sep 20, 2024 4:06 PM IST / Updated: Sep 20 2024, 09:37 PM IST
18

সাধারণ জীবনে আমরা প্রায়ই ভূত, প্রেতাত্মা এবং অশুভ শক্তি নিয়ে কথা বলি। কেউ কেউ এইসব অশুভ শক্তির অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন, আবার কেউ কেউ বিশ্বাস করেন না। তবে ধর্মগ্রন্থগুলিতে অশুভ শক্তি, ভূত ইত্যাদি সম্পর্কে উল্লেখ আছে। 
 

28

ধর্মগ্রন্থ এবং পৌরাণিক কাহিনীতে অশুভ শক্তির সাথে সম্পর্কিত অনেক রহস্যের কথা বলা হয়েছে। কারা অতৃপ্ত আত্মা বা ভূতে পরিণত হয়? কাদের উপর এই অশুভ শক্তির প্রভাব বেশি পড়ে? এছাড়াও, আত্মাদের রহস্য সম্পর্কেও এখানে তথ্য দেওয়া হল।  

38

ভূত কাকে বলে?
আত্মাকে কেন ভূত বলা হয় এবং আত্মা কীভাবে ভূতে পরিণত হয়? এই প্রশ্ন সবার মনেই আসে… ভূত হলো এক ধরনের অলৌকিক জীব, যা মৃত ব্যক্তির আত্মা থেকে তৈরি হয়। যারা তাদের ইচ্ছা পূরণ না করেই মারা যান, তাদের আত্মা অতৃপ্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায়। পুনর্জন্মের জন্য সেই আত্মা স্বর্গ বা নরকে যায় না, বরং পৃথিবীতেই ঘুরে বেড়ায়। 

48

আত্মা কখন ঘুরে বেড়ায়
যে ব্যক্তি জীবনের আকাঙ্ক্ষায় আবদ্ধ থাকে, মৃত্যুর পরেও তার আত্মা ভূত হয়ে ঘুরে বেড়ায়। এছাড়াও, যারা জীবনে ক্ষুধা, তৃষ্ণা, রোগ, রাগ, কাম ইত্যাদি আকাঙ্ক্ষা পূরণ না করেই মারা যান, তাদের আত্মাও মৃত্যুর পরে ভূত হয়ে পৃথিবীতে ঘুরে বেড়ায়। এই ধরনের আত্মা তাদের অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য ঘুরে বেড়ায়। এছাড়াও, যাদের শ্রাদ্ধকর্ম, তর্পণ ইত্যাদি করা হয় না, তাদের আত্মাও পৃথিবীতে ঘুরে বেড়ায়। 

58

আত্মা বিভিন্ন প্রকারের হয়
আসলে ভূত আছে কি না, তা জানার আগে জেনে নেওয়া দরকার কত প্রকারের আত্মা আছে। ধর্মগ্রন্থে তিন ধরনের আত্মার কথা বলা হয়েছে - জীবাত্মা, প্রেতাত্মা। 

68

আমাদের শরীরে যে সূক্ষ্ম আত্মা বাস করে, তাকে জীবাত্মা বলা হয়। কিন্তু যখন কামনা-বাসনা জীবাত্মার উপর হাবি হয়, তখন তাকে প্রেতাত্মা বলা হয়। আবার, যখন এই আত্মা সূক্ষ্ম শরীরে বাস করে, তখন তাকে সূক্ষ্মাত্মা বলা হয়।
 

78

ভূত কাদের উপর প্রভাব ফেলে?
পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, ভূত দুর্বল শরীর এবং মানসিক ও শারীরিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের খোঁজ করে। এছাড়াও, যারা সবসময় ভয় পান, তাদের উপর ভূত, প্রেতাত্মার প্রভাব বেশি পড়ে। যাদের জন্মছকে গ্রহ দুর্বল, তাদের উপরও ভূতের প্রভাব পড়তে পারে। 

88

ভূত বা অশুভ শক্তি থেকে দূরে থাকতে কী করবেন
প্রথমত, সর্বদা ঈশ্বরকে স্মরণ করুন এবং অশুভ শক্তি থেকে দূরে থাকতে ঈশ্বরের ধ্যান করুন। ঈশ্বরের ধ্যান করলে আমাদের মধ্যে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়। আপনি যখন আপনার কর্মকে সঠিক রাখবেন, তখন তা ইতিবাচক শক্তির রূপে আপনার উপর প্রভাব ফেলবে। সমস্ত প্রকার বাধা-বিপত্তি, ভয় থেকে দূরে থাকতে সর্বদা হনুমানজীর ধ্যান করুন। হনুমান সর্বদা তার ভক্তদের রক্ষা করেন।

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos