ঘোর কলি! পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ৫টি ঘটনা পৃথিবীর শেষ দিনের ইঙ্গিত - দেখুন ছবিতে
পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিয়ে অনেক রহস্য রয়েছে। যার অধিকাংশই এখনও অধরা রয়ে গেছে। তেমনই একটি রহস্য হল জগন্নাথ মন্দিরেই রয়েছে পৃথিবীর ধ্বংস বা কলি যুগের অবসান নিয়ে নানা লেখা।
Saborni Mitra | Published : Jul 11, 2024 3:19 PM IST / Updated: Jul 12 2024, 10:27 AM IST
কলি কাল
স্কন্দ পুরাণ, ভবিষ্য পুরাণ, ভগবত পুরাণ, বিষ্ণু পুরাণ ও আরও বহু পুরাণে কলিযুগের উল্লেখ রয়েছে। বলা হয়েছে কলিকালেই ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী।
বিষ্ণুর দশম অবতার
পুরাণ অনুযায়ী ভগবান বিষ্ণর দশম অবতার কল্কির জন্ম হবে। কল্পিরূপেই তিনি বিশ্ব ধ্বংস করবেন। সূচনা হবে নতুন যুগের।
ভবিষ্য মালিকা
কলিযুগ নিয়ে ভবিষ্য মালিকায় বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। উল্লেখ আছে সৃষ্টি ধ্বংসের। তেমনই পুরীর মন্দিরেও রয়েছে বিভিন্ন ভবিষ্যদ্বাণী। যা লেখা হয়েছিল ৫০০ বছর আগে। লিখেছিলেন ঋষি অচ্যুতানন্দ দাস।
ঋষির বাণী মিলছে
ঋষি অচ্যুতানন্দ দাস তাঁর ভবিষ্য মালিকাতে জগন্নাথ মন্দিরের বিভিন্ন দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। যেগুলি সত্যি সত্যিই ঘটেছে। আগামী দিনেই সেগুলি মিলবে বলেও ধারনা অনেকের।
পতাকায় আগুন
ভবিষ্য মালিকায় রয়েছে মন্দির চত্ত্বরে ত্রিনয়নে থাকা কাপড়ে আগুন লেগে যাবেয ২০২০ সালে তেমনই হয়েছিল।
ঘটনার সূত্রপাত
পাপাংশক একাদশীর দিনে জগন্নাথ মন্দিরে অখণ্ড মহাপ্রদীপ জ্বালান হয়। কিন্তু প্রবল বাতাসের কারণে সেই প্রদীপের আগুন কোনও ভাবে ধ্বজায় লেগে গিয়েছিল। পুড়ে গিয়েছিল পতাকা। তারপর থেকেই ঘোর কলি বলে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।
গম্বুজে পাখি নয়
পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিয়ে একটি বড় মিথ হল এই মন্দিরের ওপর দিন কোনো কাক ,চিল উড়তে পারে না। বলা ভাল পাখি উড়তে পারে না । যা না কোনও বিমানও। কিন্তু সম্প্রতি ঘটেছে অন্য ঘটনা। দেখা গেছে গম্বুজে বয়ে রয়েছে কাক, শকুন। য়া হিন্দু ধর্মে অশুভ বলে মনে করা হয়।
বেঁকে যাবে সুদর্শন চক্র
ভবিষ্য় মালিকায় রয়েছে জগন্নাথ মন্দিরের সুদর্শনচক্র ঝড়ের কারমে বেঁকে যাবে। ২০১৯ সালের ঘূর্ণিঝড় ফণীর সময় বিশালাকার সুদর্শনচক্রটি বেঁকে যায়। তবে চক্র কিন্তু ঠিক করা যায়নি।
গম্বুজের পাথর খসবে
ভবিষ্য় মালিকায় রয়েছে গম্বুজের পাথর খসতে শুরু করে ধ্বংস আসন্ন। ১৮৮২ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ১৫-১৬ বার গম্বুজের পাথর খসে পড়েছে।
বটগাছের মৃত্যু
ভবিষ্য মালিকায় রয়েছে ধ্বংসার ইঙ্গিত দেবে মন্দিরের বটগাছ। যেটি ২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড়ের সময়ই উপড়ে পড়ে যায়। তারপরই বিশ্ব ছড়িয়ে পড়েছিল করোনাভাইরাসের মহামারি।